বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ১ এপ্রিল থেকে সব ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন পুরোপুরি কার্যকর করা হবে। পাশাপাশি দুটি আসনের একটি ফাঁকা রাখা হবে। রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের সব রেলস্টেশনে ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
তবে আগাম টিকিট বিক্রি হওয়ায় নতুন নির্দেশনা পুরোপুরি কার্যকর করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন রেলস্টেশনের কর্মকর্তারা। তবে ট্রেনে পরিবহনের জন্য যারা অগ্রিম টিকিট নিয়েছেন তাদের এক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেনে চলাচলের আহ্বান জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
যদি স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য স্বেচ্ছায় যাত্রীরা টিকিট ফেরত দেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করবে। টিকিটের অর্থও ফেরত দেবে। সোমবার (২৯ মার্চ) রাত থেকেই সব রেলস্টেশনে এই নির্দেশনা কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ সারোয়ার বলেন, আমরা রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের অধীনে। পূর্ব রেলের মহাব্যবস্থাপকের দফতর থেকে নির্দেশনা এসেছে। করোনার প্রথম ঢেউ সামলানোর জন্য আগে যেভাবে এক আসন খালি রেখে ট্রেনে যাত্রী পরিবহন করা হতো তেমনি এবারও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য একই পদ্ধতিতে যাত্রী পরিবহন করা হবে।
জানা গেছে, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ট্রেন চলাচল করে। সব ধরনের ট্রেনেই একটি করে আসন খালি রেখে যাত্রী পরিবহন করা হবে।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) থেকে ট্রেনে মাস্ক ছাড়া যাত্রী পরিবহন করা হবে না। এজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারোয়ার বলেন, ১ এপ্রিল ৫ এপ্রিলের ট্রেন টিকিট বিক্রি করা হবে। পাঁচ দিন আগে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি হয়েছে ১০ দিন আগে। ফলে আগাম টিকিট যারা নিয়েছেন তাদের অর্ধেক ব্যক্তি টিকিট ফেরত দেবেন কি না আমরা নিশ্চিত নই। স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি বাস্তবায়নে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ের অপারেশন শাখা থেকে জানানো হয়েছে, এক আসন ফাঁকা রেখে চলবে ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনেরই মোট টিকিটের অর্ধেক বিক্রি করা হবে। টিকিট কাউন্টার ও অনলাইনে বিক্রি হবে।
বিজনেস আওয়ার/৩০ মার্চ, ২০২১/এ