স্পোর্টস ডেস্ক : নিউজল্যান্ডের মাটিতে তাদেররই বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করল কিউয়িরা। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হেরে আরেকটি পরাজয়ের সংখ্যা বাড়িয় নিল বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এক ‘ভজকট’ পরিস্থিত তৈরি হলো। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে টার্গেট নিয়ে ‘নাটক’ হলো। প্রথমে শোনা গেল, বৃষ্টির কারণে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৪৮ রান। সেই লক্ষ্য মাথায় নিয়ে ব্যাটিংয়েও নেমে গিয়েছিল টাইগাররা।
১.৩ ওভারে দলের রান যখন বিনা উইকেটে ১২, তখনই খবর এলো-লক্ষ্য ভুল হয়েছে। ডাকওয়ার্থ পদ্ধতিতে জিততে হলে ১৬ ওভারে করতে হবে ১৭১ রান। মোহাম্মদ নাইমকে সঙ্গে নিয়ে একটা সময় আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন সৌম্য সরকার। প্রথম দশ ওভারে বাংলাদেশ তুলে ১ উইকেটে ৯৪ রান।
৩৬ বলে তখন টাইগারদের দরকার ৭৬। হাতে উইকেট আছে, ব্যাট চালিয়ে খেললে এমন ম্যাচ জেতাও অসম্ভব নয়। কিন্তু ১০ ওভার পার হতেই রানের চাপে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল টাইগারদের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৪২ রানে থামলো বাংলাদেশ। ডাকওয়ার্থ লুইসে ২৮ রানে হেরে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খুইয়েছে টাইগাররা।
১৭১ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে দারুণ ব্যাটিং করেন সৌম্য। ২৫ বলে তুলে নেন ফিফটি, ৫ চার আর ৩ ছক্কায়। কিন্তু ১১তম ওভারের প্রথম বলেই টিম সাউদিকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅনে ক্যাচ হন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপরই বাংলাদেশের বিপদ শুরু।
সৌম্য ফেরার পর এক ওভার বিরতি দিয়ে নাইম ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২১ রানের ছোট একটা ইনিংস খেলেন। আফিফ হোসেন (২), মোহাম্মদ মিঠুন (১), সাইফউদ্দিনরা (৩) রানের চাকা ঘুরাতে পারেননি। শেষদিকে মেহেদি হাসান ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। যদিও দলের হার নিশ্চিত হয়ে গেছে।
এর আগে দারুণ বোলিংয়ে ১১১ রানের মধ্যে কিউইদের ৫ উইকেট তুলে নিলেও গ্লেন ফিলিপস আর ড্যারেল মিচেলকে আটকাতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা। ফিলিপস ৩১ বলে ৫৮ আর মিচেল ১৬ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
মেহেদি হাসান ২ উইকেট নিতে ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৫ রান। একটি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলাম। সাইফউদ্দিন ৩ ওভারে ৩৫ আর তাসকিন ৩.৫ ওভারে দেন ৪৯ রান। শরিফুল ৩ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৬ রান। এছাড়া নাসুম উইকেট না পেলেও ছিলেন মিতব্যয়ী, ৪ ওভারে দেন ২৫ রান।
বিজনেস আওয়ার/৩০ মার্চ, ২০২১/এ
