ঢাকা , সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইএফআইসি ব্যাংকের মুনাফা ১১৩ কোটি হলেও শেয়ারহোল্ডাররা পাবে না ১ টাকা

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১
  • 78

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আগের ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ব্যবসায়ও অর্জিত মুনাফার শতভাগ কোম্পানিতে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে এবারও লভ্যাংশ প্রদান অনুপাত (ডিভিডেন্ড পে আউট রেশিও) হবে শূন্য। যে ব্যাংকটির ২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০) লোকসানে ব্যবসায় ধস নেমেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ০.৭৬ টাকা। তবে বছর শেষে এই মুনাফার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৭০ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেষ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ০.০৬ টাকা।

কোম্পানিটির ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ০.৭০ টাকা হিসেবে মোট ১১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। তবে কোম্পানির পর্ষদ শুধুমাত্র ৫ শতাংশ বোনাস বা শেয়ারপ্রতি ০.৫০ টাকা করে মোট ৮০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে মুনাফার বাকি ৩২ কোটি ৪০ লাখ টাকা রিজার্ভে যোগ হবে। এর মাধ্যমে কোম্পানির মুনাফার ১ টাকাও শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরন করা হবে না।

অথচ নগদ লভ্যাংশ প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। ওই অর্থবছরের আয়কর পরিপত্র অনুযায়ি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে কমপক্ষে বোনাস লভ্যাংশের সমপরিমাণ নগদ লভ্যাংশ দিতে হবে। যদি বোনাসের পরিমাণ নগদের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে পুরো বোনাস শেয়ারের উপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে।

এ হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংককে ৮০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার বোনাস শেয়ারের উপর ১০ শতাংশ হারে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা অতিরিক্ত করবাবদ জরিমানা দিতে হবে।

ডিএসই অনুযায়ি, এই ব্যাংকটি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার কোন রেকর্ড নেই। নিয়মিতভাবে বোনাস শেয়ার দিয়ে ব্যাংকটিকে শীর্ষ পর্যায়ের পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি বানানো হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৭ সালে ১টি সাধারন শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ারও ইস্যু করা হয়। এরপরেও ২০২০ সালে আবারও রাইট ইস্যুর আবেদন করে। তবে কমিশন তা বাতিল করে দিয়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির ২০২০ সালের ব্যবসায় ধস নেমেছে। আগের বছর কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ১.৯২ টাকা। যার পরিমাণ এ বছর নেমে এসেছে ০.৭০ টাকায়। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ১.২২ টাকা বা ৬৩.৫৪ শতাংশ।

উল্লেখ্য ১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আইএফআইসি ব্যাংকের বর্তমানে ১ হাজার ৬১৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। বুধবার (৩১ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১১.৪০ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/০১ এপ্রিল, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আইএফআইসি ব্যাংকের মুনাফা ১১৩ কোটি হলেও শেয়ারহোল্ডাররা পাবে না ১ টাকা

পোস্ট হয়েছে : ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আগের ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ব্যবসায়ও অর্জিত মুনাফার শতভাগ কোম্পানিতে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে এবারও লভ্যাংশ প্রদান অনুপাত (ডিভিডেন্ড পে আউট রেশিও) হবে শূন্য। যে ব্যাংকটির ২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০) লোকসানে ব্যবসায় ধস নেমেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ০.৭৬ টাকা। তবে বছর শেষে এই মুনাফার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৭০ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেষ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ০.০৬ টাকা।

কোম্পানিটির ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ০.৭০ টাকা হিসেবে মোট ১১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। তবে কোম্পানির পর্ষদ শুধুমাত্র ৫ শতাংশ বোনাস বা শেয়ারপ্রতি ০.৫০ টাকা করে মোট ৮০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে মুনাফার বাকি ৩২ কোটি ৪০ লাখ টাকা রিজার্ভে যোগ হবে। এর মাধ্যমে কোম্পানির মুনাফার ১ টাকাও শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরন করা হবে না।

অথচ নগদ লভ্যাংশ প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। ওই অর্থবছরের আয়কর পরিপত্র অনুযায়ি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে কমপক্ষে বোনাস লভ্যাংশের সমপরিমাণ নগদ লভ্যাংশ দিতে হবে। যদি বোনাসের পরিমাণ নগদের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে পুরো বোনাস শেয়ারের উপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে।

এ হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংককে ৮০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার বোনাস শেয়ারের উপর ১০ শতাংশ হারে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা অতিরিক্ত করবাবদ জরিমানা দিতে হবে।

ডিএসই অনুযায়ি, এই ব্যাংকটি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার কোন রেকর্ড নেই। নিয়মিতভাবে বোনাস শেয়ার দিয়ে ব্যাংকটিকে শীর্ষ পর্যায়ের পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি বানানো হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৭ সালে ১টি সাধারন শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ারও ইস্যু করা হয়। এরপরেও ২০২০ সালে আবারও রাইট ইস্যুর আবেদন করে। তবে কমিশন তা বাতিল করে দিয়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির ২০২০ সালের ব্যবসায় ধস নেমেছে। আগের বছর কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ১.৯২ টাকা। যার পরিমাণ এ বছর নেমে এসেছে ০.৭০ টাকায়। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ১.২২ টাকা বা ৬৩.৫৪ শতাংশ।

উল্লেখ্য ১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আইএফআইসি ব্যাংকের বর্তমানে ১ হাজার ৬১৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। বুধবার (৩১ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১১.৪০ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/০১ এপ্রিল, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: