ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজেকে ও অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা এএসপি শামীম আনোয়ারের

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০২১
  • 3

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের রাঙ্গুনিয়া সার্কেল কার্যালয় ও নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। নিজের বসার চেয়ারের পেছনের দেয়ালে ‘আমি ও আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত’ লিখে পোস্টার সাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুধু নিজের বসার চেয়ারের পেছনেই নয়, কার্যালয়ের মূল ফটকেও একই স্লোগান।

এ প্রসঙ্গে এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, এ দফতরের কোনো কাজে ঘুষ নেওয়া হয় না। কার্যালয়ের মূল ফটকে ‘আমি ও আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত’ ঘোষণাপত্র লাগিয়ে দিয়েছি। পরবর্তীতে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সব অফিসে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণাপত্র লাগানো হবে। এরপরও যদি কেউ দুর্নীতির শিকার হন বা কারও কাছ থেকে ঘুষ ও অবৈধ সুবিধা কেউ দাবি করে তাহলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, পুলিশে পরিবর্তনের ধারা সূচিত করার লক্ষ্য নিয়েই এই পুলিশ সার্ভিসে এসেছি। আমি স্বপ্ন দেখি, উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশ পুলিশও একদিন দেশবাসীর কাছে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা ও সম্মান পাওয়ার যোগ্য হবে।

দুর্নীতি ও জনভোগান্তি প্রতিরোধে সার্কেল এএসপি’র এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এবং অফিসে এমন ঘোষণাপত্র ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। জরুরি কাজে যারা দেখা করতে কিংবা পুলিশি সেবা নিতে আসেন তারা এটা দেখে সাহস পান।

উপজেলার পোমরা বাচাশাহ এলাকার এক বাসিন্দা জানান, যোগদানের পর অল্প সময়ের মধ্যেই এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম একজন সৎ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন। সব জায়গায় তার মতো অফিসার থাকলে পুলিশ জনগণের প্রকৃত আস্থা ও বিশ্বাসের ঠিকানায় পরিণত হবে।

জানা যায়, আগস্ট মাসের শুরুতে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের দায়িত্বভার নেন এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম। তারপর থেকেই অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর ভূমিকা নেন। তার অধীন রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া থানার সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যদের দেওয়া হয় কঠোর বার্তা। শুধু কথা বলেই তিনি দায়িত্ব শেষ করেননি, নিজেই তৈরি করেছেন উদাহরণ।

পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক পুরনো অভিযোগ ভেরিফিকেশনে গিয়ে ‘ঘুষ গ্রহণ’। কিন্তু ভেরিফিকেশনে গিয়ে উল্টো তিনি উপহার দিয়ে এসেছেন ফুল এবং মিষ্টি। তাছাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সংক্রান্ত হয়রানি দূর করার জন্য তিনি নিজ খরচে বিনামূল্যে জিডি করার ফরম সরবরাহ করেছেন তিনি। তাছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানবতার নানা নজির স্থাপন করেছেন এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।

বিজনেস আওয়ার/০৩ এপ্রিল, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নিজেকে ও অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা এএসপি শামীম আনোয়ারের

পোস্ট হয়েছে : ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের রাঙ্গুনিয়া সার্কেল কার্যালয় ও নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। নিজের বসার চেয়ারের পেছনের দেয়ালে ‘আমি ও আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত’ লিখে পোস্টার সাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুধু নিজের বসার চেয়ারের পেছনেই নয়, কার্যালয়ের মূল ফটকেও একই স্লোগান।

এ প্রসঙ্গে এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, এ দফতরের কোনো কাজে ঘুষ নেওয়া হয় না। কার্যালয়ের মূল ফটকে ‘আমি ও আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত’ ঘোষণাপত্র লাগিয়ে দিয়েছি। পরবর্তীতে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সব অফিসে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণাপত্র লাগানো হবে। এরপরও যদি কেউ দুর্নীতির শিকার হন বা কারও কাছ থেকে ঘুষ ও অবৈধ সুবিধা কেউ দাবি করে তাহলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, পুলিশে পরিবর্তনের ধারা সূচিত করার লক্ষ্য নিয়েই এই পুলিশ সার্ভিসে এসেছি। আমি স্বপ্ন দেখি, উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশ পুলিশও একদিন দেশবাসীর কাছে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা ও সম্মান পাওয়ার যোগ্য হবে।

দুর্নীতি ও জনভোগান্তি প্রতিরোধে সার্কেল এএসপি’র এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এবং অফিসে এমন ঘোষণাপত্র ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। জরুরি কাজে যারা দেখা করতে কিংবা পুলিশি সেবা নিতে আসেন তারা এটা দেখে সাহস পান।

উপজেলার পোমরা বাচাশাহ এলাকার এক বাসিন্দা জানান, যোগদানের পর অল্প সময়ের মধ্যেই এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম একজন সৎ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন। সব জায়গায় তার মতো অফিসার থাকলে পুলিশ জনগণের প্রকৃত আস্থা ও বিশ্বাসের ঠিকানায় পরিণত হবে।

জানা যায়, আগস্ট মাসের শুরুতে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের দায়িত্বভার নেন এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম। তারপর থেকেই অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর ভূমিকা নেন। তার অধীন রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া থানার সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যদের দেওয়া হয় কঠোর বার্তা। শুধু কথা বলেই তিনি দায়িত্ব শেষ করেননি, নিজেই তৈরি করেছেন উদাহরণ।

পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক পুরনো অভিযোগ ভেরিফিকেশনে গিয়ে ‘ঘুষ গ্রহণ’। কিন্তু ভেরিফিকেশনে গিয়ে উল্টো তিনি উপহার দিয়ে এসেছেন ফুল এবং মিষ্টি। তাছাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সংক্রান্ত হয়রানি দূর করার জন্য তিনি নিজ খরচে বিনামূল্যে জিডি করার ফরম সরবরাহ করেছেন তিনি। তাছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানবতার নানা নজির স্থাপন করেছেন এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।

বিজনেস আওয়ার/০৩ এপ্রিল, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: