বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষের চলাচলে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। বিধিনিষেধ পালনের শুরুর দিনে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল সবই চলছে। মানুষও রাস্তায় বের হয়েছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়, রাস্তায় যাত্রীবাহী বাস নেই। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের বেশ চাপ রয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই ট্রাফিক সামাল দিতে হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের। এমনকি কিছু সিগন্যালে ছোটখাটো যানজটও দেখা গেছে।
রিকশায় চেপে অফিসের পথে যাত্রা করা এক নারী বলেন, লকডাউন দিলেও অফিস খোলা রয়েছে। সুতরাং অফিসে যেতেই হবে। মতিঝিলে অফিস। গাড়ি বন্ধ থাকায় বাড়তি খরচ করে বাধ্য হয়ে রিকশায় যাচ্ছি।
মালিবাগের আবুল হোটেল মোড়ে দেখা যায়, গাড়ির বেশ চাপ রয়েছে। মোড়টিতে একতলা ও দ্বিতল কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসও দেখা যায়। বাসগুলোর ভেতরে যাত্রীও দেখা যায়। তবে এসব বাসের যাত্রী বা চালক কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হওয়া আশফাক আহমেদ বলেন, অফিস খোলা থাকলে বাসা থেকে বের হতেই হবে। সবার পরিবার আছে। রুটি-রুজির চিন্তা আছে। সুতরাং অফিস খোলা থাকলে করোনার ভয়ে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই।
মালিবাগের আবুল হোটেল মোড়ে দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য বলেন, সকালে রাস্তায় গাড়ি বেশ কম ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির চাপ বেড়েছে। এ কারণে আমাদের ট্রাফিক সামাল দিতে হচ্ছে। যাত্রীবাহী পরিবহন চলছে না। তবে রিকশা, সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে তিন দিক থেকে ট্রাফিক সিগন্যাল দিতে হচ্ছে।
মতিঝিল, কাকরাইল, পল্টন, শাহবাগ অঞ্চল ঘুরেও প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, রিকশা মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সড়কে দেখা গেল অন্যরকম এক চিত্র। পণ্য পরিবহনে ব্যবহার হওয়া পিকআপ ভ্যানে এখন যাত্রী বোঝাই। ছোট্ট এই পিকআপে গাদাগাদি করে উঠেছেন প্রায় ১৫-২০ জন। কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও, অনেকের মুখ ফাঁকা।
বিজনেস আওয়ার/০৫ এপ্রিল, ২০২১/এ