ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১
  • 92

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনা মহামারির মধ্যে আবারও বেড়েছে চালের দাম। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি বাজারে চালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে পাইকাররা জানান ১০ থেকে ১৫ দিন পর চালের দাম কিছুটা কমতে পারে।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা কেজি, যা বিধিনিষেধ ঘোষণার আগে ছিল ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা কেজি। অর্থাৎ চিকন চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা পর্যন্ত।

দাম বাড়ার এই তালিকায় রয়েছে মাঝারি মানের পইজাম ও লতা চালের পাশাপাশি গরিবের মোটা চালও। বর্তমানে মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকার মধ্যে। অপরদিকে মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা, যা আগে ছিল ৪৬ থেকে ৫০ টাকা।

চালের দাম বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির তথ্যেও। তবে দামের বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্যের সঙ্গে টিসিবির দামের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, মিনিকেট ও নাজির চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। মোটা চালের দাম ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বেড়ে এখন কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫২ টাকা। আর মাঝারি মানের চালের দাম মাসের ব্যবধানে ১ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৬০ টাকা।

চালের দামের বিষয়ে মালিবাগের এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে। রশিদের মিনিকেট চাল কয়েকদিন ধরে আসছে না। অল্পকিছু যে চাল আসছে তার সবগুলোর দাম কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়ে গেছে।

চাল ক্রেতা হাসানুজ্জামান বলেন, মার্চ মাসে রশিদের ২৫ কেজির এক বস্তা চাল কিনেছিলাম ১৬০০ টাকা দিয়ে। এখন সেই চালের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৬৮০ টাকা। মহামারিতে একদিকে মানুষ মরছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সব চাপ গিয়ে পড়ছে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর।

খিলগাঁওয়ের এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, এক সপ্তাহ আগেও আমরা রশিদের ২৫ কেজির এক বস্তা চাল ১৬০০ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু গত তিনদিনে যে হারে দাম বেড়েছে তাতে এখন ১৬৮০ টাকা বস্তা বিক্রি করতে হচ্ছে। রশিদের মতো অন্যান্য কোম্পানির চালের দামও বেড়েছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের ন্যাশনাল রাইস মিলের কর্ণধার মোহাম্মদ হাসান রাজু বলেন, সাধারণত এই সময়ে বাজারে চালের সরবরাহ কম থাকে। এবারও সেটাই দেখা যাচ্ছে। এ কারণে চালের একটু দাম বেড়েছে। তবে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চালের দাম কমে যাবে।

বিজনেস আওয়ার/১২ এপ্রিল, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম

পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনা মহামারির মধ্যে আবারও বেড়েছে চালের দাম। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি বাজারে চালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে পাইকাররা জানান ১০ থেকে ১৫ দিন পর চালের দাম কিছুটা কমতে পারে।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা কেজি, যা বিধিনিষেধ ঘোষণার আগে ছিল ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা কেজি। অর্থাৎ চিকন চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা পর্যন্ত।

দাম বাড়ার এই তালিকায় রয়েছে মাঝারি মানের পইজাম ও লতা চালের পাশাপাশি গরিবের মোটা চালও। বর্তমানে মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকার মধ্যে। অপরদিকে মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা, যা আগে ছিল ৪৬ থেকে ৫০ টাকা।

চালের দাম বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির তথ্যেও। তবে দামের বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্যের সঙ্গে টিসিবির দামের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, মিনিকেট ও নাজির চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। মোটা চালের দাম ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বেড়ে এখন কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫২ টাকা। আর মাঝারি মানের চালের দাম মাসের ব্যবধানে ১ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৬০ টাকা।

চালের দামের বিষয়ে মালিবাগের এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে। রশিদের মিনিকেট চাল কয়েকদিন ধরে আসছে না। অল্পকিছু যে চাল আসছে তার সবগুলোর দাম কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়ে গেছে।

চাল ক্রেতা হাসানুজ্জামান বলেন, মার্চ মাসে রশিদের ২৫ কেজির এক বস্তা চাল কিনেছিলাম ১৬০০ টাকা দিয়ে। এখন সেই চালের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৬৮০ টাকা। মহামারিতে একদিকে মানুষ মরছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সব চাপ গিয়ে পড়ছে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর।

খিলগাঁওয়ের এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, এক সপ্তাহ আগেও আমরা রশিদের ২৫ কেজির এক বস্তা চাল ১৬০০ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু গত তিনদিনে যে হারে দাম বেড়েছে তাতে এখন ১৬৮০ টাকা বস্তা বিক্রি করতে হচ্ছে। রশিদের মতো অন্যান্য কোম্পানির চালের দামও বেড়েছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের ন্যাশনাল রাইস মিলের কর্ণধার মোহাম্মদ হাসান রাজু বলেন, সাধারণত এই সময়ে বাজারে চালের সরবরাহ কম থাকে। এবারও সেটাই দেখা যাচ্ছে। এ কারণে চালের একটু দাম বেড়েছে। তবে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চালের দাম কমে যাবে।

বিজনেস আওয়ার/১২ এপ্রিল, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: