ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাম বেড়েছে স্বর্ণের

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : প্রাণঘাতী করোনা মহামারীর মধ্যেও গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়েছে। এতে গত সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ।

এদিকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের এই দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়া বা কমার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম কমায় মার্চ মাসে দেশের বাজারে দু’দফা স্বর্ণের দাম কমিয়েছি। দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, মহামরি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় এখন দেশব্যাপী সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এ কারণে এখন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ আছে। সরকার বিধিনিষেধ উঠিয়ে নিলে তারপর স্বর্ণের দাম সমন্বয় করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে। ফেব্রুয়ারির পতনের ধারা মার্চ মাসের শুরুতেও দেখা যায়। মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বজারে স্বর্ণের দাম কমে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এই টানা পতনে স্বর্ণের দাম ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে যায়।

বিশ্ববাজারে বড় পতন হওয়ায় মার্চ মাসে দু’দফায় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাজুস। সর্বশেষ গত ১০ মার্চ ভরিতে স্বর্ণের দাম ২০৪১ টাকা কমায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন।

গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ মার্চ থেকে ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ১১০ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৫৭ হাজার ২১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণ ৪৬ হাজার ৮৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে ২ মার্চ অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩ মার্চ থেকে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা কমিয়ে ৭১ হাজার ১৫১ টাকা বিক্রি হচ্ছিল।

পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৮ হাজার ১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৫৯ হাজার ২৫২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণ ৪৮ হাজার ৯৩১ টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল। ৯ মার্চ পর্যন্ত এই দামে স্বর্ণ বিক্রি হয়।

এর আগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি ভরিতে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা কমানো হয়। সে হিসাবে চলতি বছরে তিন ধাপে দেশের বাজারে ভরিতে স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৫৪০ টাকা কমেছে।

বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কমানোর পর মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বিশ্ববাজারে বেশ কয়েকবার দাম বাড়া-কমার ঘটনা ঘটে। তবে এই দাম বাড়া বা কমার প্রবণতা ছিল বেশ ছোট। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৭৪৫ ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল।

এ পরিস্থিতিতে গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ১৩ দশমিক ২৫ ডলার বাড়ার মাধ্যমে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৩ ডলারের ওপরে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।

বিজনেস আওয়ার/১৭ এপ্রিল, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দাম বেড়েছে স্বর্ণের

পোস্ট হয়েছে : ০৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : প্রাণঘাতী করোনা মহামারীর মধ্যেও গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়েছে। এতে গত সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ।

এদিকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের এই দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়া বা কমার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম কমায় মার্চ মাসে দেশের বাজারে দু’দফা স্বর্ণের দাম কমিয়েছি। দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, মহামরি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় এখন দেশব্যাপী সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এ কারণে এখন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ আছে। সরকার বিধিনিষেধ উঠিয়ে নিলে তারপর স্বর্ণের দাম সমন্বয় করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে। ফেব্রুয়ারির পতনের ধারা মার্চ মাসের শুরুতেও দেখা যায়। মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বজারে স্বর্ণের দাম কমে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এই টানা পতনে স্বর্ণের দাম ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে যায়।

বিশ্ববাজারে বড় পতন হওয়ায় মার্চ মাসে দু’দফায় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাজুস। সর্বশেষ গত ১০ মার্চ ভরিতে স্বর্ণের দাম ২০৪১ টাকা কমায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন।

গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ মার্চ থেকে ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ১১০ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৫৭ হাজার ২১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণ ৪৬ হাজার ৮৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে ২ মার্চ অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩ মার্চ থেকে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা কমিয়ে ৭১ হাজার ১৫১ টাকা বিক্রি হচ্ছিল।

পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৮ হাজার ১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৫৯ হাজার ২৫২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণ ৪৮ হাজার ৯৩১ টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল। ৯ মার্চ পর্যন্ত এই দামে স্বর্ণ বিক্রি হয়।

এর আগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি ভরিতে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা কমানো হয়। সে হিসাবে চলতি বছরে তিন ধাপে দেশের বাজারে ভরিতে স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৫৪০ টাকা কমেছে।

বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কমানোর পর মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বিশ্ববাজারে বেশ কয়েকবার দাম বাড়া-কমার ঘটনা ঘটে। তবে এই দাম বাড়া বা কমার প্রবণতা ছিল বেশ ছোট। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৭৪৫ ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল।

এ পরিস্থিতিতে গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ১৩ দশমিক ২৫ ডলার বাড়ার মাধ্যমে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৩ ডলারের ওপরে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।

বিজনেস আওয়ার/১৭ এপ্রিল, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: