বিনোদন ডেস্ক : রোজা মুসলমানদের জন্য অন্যতম পবিত্র ইবাদাত৷ রমজান মাস জুড়ে চলে এ ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা৷ এর যেমন আছে ধর্মীর গুরুত্ব তেমনি এদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকেও মহিমান্বিত করেছে রমজান৷
আমরা অনেকেই শৈশবের রোজা পালন নিয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগে থাকি৷ অনেকে আবার রোজা এলে নানা রকম উপলব্ধিও করি। শোবিজ তারকারাও তার ব্যতিক্রম নন৷ চলতি প্রজন্মের নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘিও এই তালিকায় রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে দীঘি বলেন, ক্লাস ওয়ান থেকেই রোজা রাখি আমি। স্পষ্ট মনে আছে ক্লাস ওয়ানে যখন পড়ি তখন ১৮টা রোজা রেখেছিলাম। তবে আমার নিয়মিত রোজা রাখার শুরু ক্লাস টু থেকে। আম্মু খুব খুশি হতেন রোজা রাখলে৷
এ নায়িকা আরও যোগ করেন, ‘মা বেঁচে থাকতে তো অনেক ছোট ছিলাম, তাই রোজা রাখতে দিত না। কিন্তু খুব ইচ্ছা হতো রোজা রাখার। বাসার সবাই রাখতো তো। সেহরির সময় দেখা যেত ঘুমিয়ে যেতাম। কিন্তু বাইরের আওয়াজ, সবার হাঁটা চলার শব্দে সেহরির সময় ঠিকই উঠে যেতাম।
তিনি বলেন, বাধ্য হয়েই আমাকে খাবারের টেবিলে রাখতে হতো৷ খেতাম আর বলতাম আমিও রোজা রেখেছি। যদিও পরের দিন সকাল বেলা ওঠার পর মা জোর করে খাওয়াতো। সেহরির সেসব দিনগুলো খুব মিস করি। মাকেও খুব মিস করি।
ইফতার নিয়ে দীঘি বলেন, ‘পরিবারে সবার ছোট ছিলাম আমি। যার ফলে ইফতারের সবচেয়ে ভালো খাবারটা আমার পাতেই দেয়া হতো। এটা আমার কাছে খুব মজা লাগতো। বড় হয়ে যখন জানতে পারলাম রোজা রাখাটা অনেক সওয়াবের তখন থেকে ভালো লাগাটা বহুগুণ বেড়ে যায়।’
সেহরী, ইফতারে খাবার নিয়ে আলাদা কোনো পছন্দ নেই দীঘির৷ একজন বাঙালি হিসেবে সেহরিতে ডিনারের যেসব মেন্যু সেসবই থাকে৷ আর ইফতার করেন ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো দিয়েই। যেমন পেয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ এগুলো। মাঝে মাঝে ইফতারে খিচুরি বা বিরিয়ানি জাতীয় খাবার খাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, দীঘি সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকের শুটিং শেষ করে দেশে ফেরেছেন। ইতোমধ্যে দীঘি অভিনীত ‘তুমি আছো তুমি নেই’ ও ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ ছবি মুক্তি পেয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/২১ এপ্রিল, ২০২১/এ