ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিম-তেল-পেঁয়াজের দাম কমেছে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১
  • 49

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সয়াবিন তেল, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, দারুচিনি, ডিম ও বয়লার মুরগির দাম কমেছে। তবে বেড়েছে মসুর ডাল, দেশি হলুদ, দেশি আদা, লবঙ্গ, ডানো দুধ, খেজুরের দাম। টিসিবির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যাম বাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভী বাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মীরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে সব থেকে বেশি দাম কমেছে দেশি রসুনের। এক সপ্তাহে এই পণ্যটির দাম ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ কমে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এই পণ্যটির দাম কমেছে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

কমার তালিকায় রয়েছে পেঁয়াজ। গত এক সপ্তাহে ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। এতে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। গত এক সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

পেঁয়াজ, রসুনের সঙ্গে সয়াবিন তেলের দামও কমেছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহে লুজ সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। এই দাম কমার ফলে এখন লুজ সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৩ টাকা।

আমদানি করা হলুদের দাম ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে চলে এসেছে। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা। জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা। দারুচিনির দাম ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ কমে কেজি ৩৬০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমার তালিকায় রয়েছে বয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিম। রোজার আগে অস্বাভাবিক দাম বাড়া বয়লার মুরগির কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ দাম কমে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩২ টাকা।

অপরদিকে টিসিবির হিসাবে গত এক সপ্তাহে সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে খেজুরের। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল দাম বাড়ার মাধ্যমে সাধারণ মানের খেজুরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে খেজুরের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ।

গত এক সপ্তাহে দেশি হলুদের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এতে প্রতি কেজি দেশি হলুদ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর বড় দানার মসুর ডালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ। এতে প্রতি কেজি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা।

ডানো গুড়া দুধের দাম ১ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়ে কেজি ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে লবঙ্গের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। দেশি আদার দাম বেড়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এতে এখন প্রতিকেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/২১ এপ্রিল, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ডিম-তেল-পেঁয়াজের দাম কমেছে

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সয়াবিন তেল, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, দারুচিনি, ডিম ও বয়লার মুরগির দাম কমেছে। তবে বেড়েছে মসুর ডাল, দেশি হলুদ, দেশি আদা, লবঙ্গ, ডানো দুধ, খেজুরের দাম। টিসিবির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যাম বাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভী বাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মীরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে সব থেকে বেশি দাম কমেছে দেশি রসুনের। এক সপ্তাহে এই পণ্যটির দাম ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ কমে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এই পণ্যটির দাম কমেছে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

কমার তালিকায় রয়েছে পেঁয়াজ। গত এক সপ্তাহে ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। এতে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। গত এক সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

পেঁয়াজ, রসুনের সঙ্গে সয়াবিন তেলের দামও কমেছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহে লুজ সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। এই দাম কমার ফলে এখন লুজ সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৩ টাকা।

আমদানি করা হলুদের দাম ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে চলে এসেছে। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা। জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা। দারুচিনির দাম ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ কমে কেজি ৩৬০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমার তালিকায় রয়েছে বয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিম। রোজার আগে অস্বাভাবিক দাম বাড়া বয়লার মুরগির কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ দাম কমে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩২ টাকা।

অপরদিকে টিসিবির হিসাবে গত এক সপ্তাহে সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে খেজুরের। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল দাম বাড়ার মাধ্যমে সাধারণ মানের খেজুরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে খেজুরের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ।

গত এক সপ্তাহে দেশি হলুদের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এতে প্রতি কেজি দেশি হলুদ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর বড় দানার মসুর ডালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ। এতে প্রতি কেজি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা।

ডানো গুড়া দুধের দাম ১ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়ে কেজি ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে লবঙ্গের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। দেশি আদার দাম বেড়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এতে এখন প্রতিকেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/২১ এপ্রিল, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: