বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জনতা ইন্স্যুরেন্সের ২০২০ সালের প্রথম ৩টি প্রান্তিকের ব্যবসায় ভালো করলেও শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০) ধস নেমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ১.১১ টাকা। এক্ষেত্রে গড়ে প্রতিটি প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছিল ০.৩৭ টাকা। তবে বছরের শেষ প্রান্তিকে এই ইপিএস নেমে এসেছে ০.১৪ টাকায়।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ি, কোম্পানিটির ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছিল ০.৪০ টাকা। যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ০.৩০ টাকা ও তৃতীয় প্রান্তিকে ০.৪১ টাকা হয়েছিল। তবে শেষ প্রান্তিকে এই ইপিএস কমে এসেছে ০.১৪ টাকায়। যাতে করে পুরো বছরে ইপিএস হয়েছে ১.২৫ টাকা।
শেষ প্রান্তিকে ধস সত্ত্বেও কোম্পানিটির আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে মুনাফা বেড়েছে। আগের বছরের ১.০৮ টাকার ইপিএস এ বছর বেড়ে হয়েছে ১.২৫ টাকা।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের অর্জিত ৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার নিট মুনাফার মধ্য থেকে ৬ শতাংশ হারে শেয়ারপ্রতি ০.৬০ টাকা হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদেরকে ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে। এছাড়া ৫ শতাংশ হিসেবে ২ কোটি ১১ লাখ টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। মুনাফার বাকি ৬৪ লাখ টাকা রিজার্ভে যোগ হবে।
উল্লেখ্য ১৯৯৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া জনতা ইন্স্যুরেন্সের বর্তমানে ৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। শনিবার (২৪ এপ্রিল) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ৩৮.৪০ টাকায়।
বিজনেস আওয়ার/২৫ এপ্রিল, ২০২১/আরএ
One thought on “জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেষ প্রান্তিকে ধস”