বিনোদন ডেস্ক : সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন দেশের আলোচিত কণ্ঠশিল্পী মঈনুল আহসান নোবেল। অল্পের জন্য বেঁচেছে চোখ, ফেটেছে মাথা। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানে এক ‘বৃদ্ধ পথচারী’কে বাঁচাতে গিয়েই তার এই পরিণতি বলে জানিয়েছিলেন।
কিন্তু তার পরদিন প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে উঠে আসে, তার এই ‘মানবিক’ গল্পটি সাজানো। প্রকাশ পায় ভিডিও। বৃদ্ধ নয়, রং সাইড দিয়ে বাইক নিয়ে দ্রুতগতিতে এক সাইকেল আরোহীকে আঘাত করেছিলেন এই গায়ক নিজেই। তাই তার ফেসবুকের অসত্য বয়ানে সমালোচিত হন নোবেল।
নোবেল দুর্ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন বলে অনেকেই তার সমালোচনা করেন। বিষয়টি নিয়ে আবারও মুখ খুলেছেন এই সংগীতশিল্পী। সমালোচনার জায়গাটা স্পষ্ট করে না বললেও ক্ষুব্ধ নোবেল সব দোষ সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের ওপর দিলেন।
তিনি বলেন, পত্রিকা নিয়ে এত মাতামাতির কী আছে? নিউজপেপারে তো অনেক খবরই ছাপা হয়। আর আমিও রোজ রোজ তামাশা করি।’
গতকাল (২৫ এপ্রিল) তার ভেরিফায়েড পেজ নোবেল ম্যানে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ছোটবেলায় নিউজপেপারে সুডোকু খেলতাম। শুকরিয়া। এরপর নিউজপেপার আর আমার কোনও কাজে এসেছে? ঠিক মনে পড়ে না। তবে হ্যাঁ, যেহেতু ‘নোবেল’ আপনাদের কাছে একটা পরিচিত নাম, এই নামে কিছু নিউজ তো ছাপা হতেই পারে। এতে ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই।
সংবাদমাধ্যমকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে এই ইউটিউবার-গায়ক লেখেন, পত্রিকা নিয়ে এত মাতামাতির কী আছে? এখন তো ইন্টারনেটের যুগ। পাশের বাড়ির খালাতো ভাই গতকাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে বলতেছে, ‘নোবেল ভাই, আমি সাংবাদিকতা শুরু করতেছি। দোয়া কইরো।’ বললাম, ‘ওকে’।
তবে পত্রিকার সাংবাদিক অথবা আমি; আমরা কেউই দৈববাণীপ্রাপ্ত আল্লাহর অলি-আউলিয়া নই যে, অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে হবে। নিউজপেপারে তো অনেক খবরই ছাপা হয়। আর আমিও রোজ রোজ তামাশা করি। সে বিষয়ে আমরা সকলেই অবগত এবং আমিও দুঃখিত।
তবে মাথায় ৩০টা সেলাই কেউ নিয়ে তামাশা করে না। আর আমি প্রকাশ্যে, অগোচরে এমনকি অবচেতনেও মিথ্যাচার করি না। প্রকাশ্যে মিথ্যা বলতে পারলে এত সমালোচনা থাকতো না। তবে সকল আলোচনা নিয়ে ইদানিং আর বিচলিত হইনা।
বিজনেস আওয়ার/২৬ এপ্রিল, ২০২১/এ