ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘কৃষকের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন শেরে বাংলা’

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
  • 65

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেরে বাংলা এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করে গেছেন। কৃষকদের অধিকার আদায়ে সব সময় সোচ্চার ছিলেন তিনি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার কৃষক ও মেহনতী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা এ কে (আবুল কাশেম) ফজলুল হক- মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।

তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জমিদাররা রায়তদের ওপর যে আবওয়াব ও সেলামি ধার্য করতেন, তিনি তার বিলোপ সাধন করেন। তার সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাকে ‘শেরে বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শোষণ ও বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।’ বাংলার গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য তার অসীম মমত্ববোধ, ভালোবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা মানুষকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে।

বাণীতে আরও বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তিনি দরিদ্র কৃষক এবং প্রজাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কৃষি ঋণ আইন প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইনসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেন।

প্রধানমন্ত্রী মহান আল্লাহর দরবারে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

উল্লেখ্য, ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন প্রথিতযশা বাঙালি এই রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন উপমহাদেশের এক অসাধারণ প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ।

তিনি কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-৪৩), পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পূর্ব বাংলার গভর্নরের (১৯৫৬-৫৮) পদসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিজনেস আওয়ার/২৭ এপ্রিল, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘কৃষকের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন শেরে বাংলা’

পোস্ট হয়েছে : ১০:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেরে বাংলা এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করে গেছেন। কৃষকদের অধিকার আদায়ে সব সময় সোচ্চার ছিলেন তিনি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার কৃষক ও মেহনতী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা এ কে (আবুল কাশেম) ফজলুল হক- মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।

তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জমিদাররা রায়তদের ওপর যে আবওয়াব ও সেলামি ধার্য করতেন, তিনি তার বিলোপ সাধন করেন। তার সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাকে ‘শেরে বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শোষণ ও বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।’ বাংলার গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য তার অসীম মমত্ববোধ, ভালোবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা মানুষকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে।

বাণীতে আরও বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তিনি দরিদ্র কৃষক এবং প্রজাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কৃষি ঋণ আইন প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইনসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেন।

প্রধানমন্ত্রী মহান আল্লাহর দরবারে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

উল্লেখ্য, ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন প্রথিতযশা বাঙালি এই রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন উপমহাদেশের এক অসাধারণ প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ।

তিনি কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-৪৩), পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পূর্ব বাংলার গভর্নরের (১৯৫৬-৫৮) পদসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিজনেস আওয়ার/২৭ এপ্রিল, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: