বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : অর্থ ও মানব পাচারের মামলায় কুয়েতে দণ্ডিত বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সাজা আরও ৩ বছর বাড়িয়েছে দেশটির একটি আদালত। ফলে কারাদণ্ডাদেশ চার বছর থেকে বেড়ে সাত বছর হয়েছে। এছাড়া তাকে ২০ লাখ কুয়েতি দিনার অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) দেশটির এ আদেশ দেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে। ওই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন পাপুল। ওই আপিলের বিষয়ে শুনানি নিয়ে পাপুলের সাজা আরও ৩ বছর বাড়িয়ে ৭ বছর এবং জরিমানা দ্বিগুণ করা হয়েছে। এর আগে পাপুলকে কুয়েতের পুলিশ সেখানে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছিল গত বছরের ৬ জুন।
তিনি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হন। নিজে সংসদ সদস্য হওয়ার পর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের কোটায় স্ত্রীকেও তিনি এমপি করে আনেন।
কুয়েতের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বাংলাদেশে পাপুলের সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করা হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
কুয়েতে পাপুলের সাজার বিষয়টি সামনে আসার পর দেশেও তার বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের নামে থাকা ৬১৩ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বা অবরুদ্ধে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আদালতের অনুমতি নিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন সই করা চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর পাঠানো হয়। এদিকে তাদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানের মোট ৩০.২৭ একর জমি ও গুলশানের ফ্ল্যাট এটাচমেন্টের সিদ্ধান্তও নেয় দুদক।
বিজনেস আওয়ার/২৭ এপ্রিল, ২০২১/এ