বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক :
মদ বিক্রেতা, তামাক কোম্পানি ও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে মোবাইল অপারেটরদের কর বেশি । মোবেইল কোম্পানির চেয়ে মদের কর কম হতে পারে না। সুতরাং মোবাইল কোম্পানির কর কমাতে হবে বলে দাবি করেন মোবাইল কোম্পানি রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ
বুধবার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে রবির প্রস্তাব তুলে ধরা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মোবাইল অপারেটরদের লোকসান হলেও সেবা বিক্রি করে পাওয়া মোট টাকার ওপর ২ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হচ্ছে। এ হার মদ বিক্রেতাদের ওপর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, তামাকে ১ শতাংশ ও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শূন্য দশমিক ৫ থেকে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশেষ কোনো দাবি করছি না। করব্যবস্থায় ন্যায্যতা চাই। লোকসান হলেও কর দিতে হবে, এটা অসাংবিধানিক।’ তিনি বলেন, নীতিনির্ধারকেরা এটা জানেন, বোঝেন। কিন্তু কিছু হচ্ছে না।
পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হওয়ার পরও রবি কোনো বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে না উল্লেখ করে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘৫০০ কোটি টাকা আজিয়াটার কাছে এমন বড় কিছু নয়। আমরা পুঁজিবাজারে গিয়েছিলাম সংশ্লিষ্টদের আশ্বাসের ভিত্তিতে। দিনের পর দিন যাচ্ছে, আমাদের দেওয়া কথা পূরণ করা হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, রবির সঙ্গে কী করা হচ্ছে, তা বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও দেখছে।
রবি’র সিইও বলেন, মদ ও তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অন্য দিকে মুঠোফোনসেবা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে। সেখানে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা কী দোষ করল যে তাদের ন্যূনতম কর মদ–তামাকের চেয়ে বেশি হবে।
ভার্চ্যুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ন্যূনতম করের কারণে রবির কার্যকর করপোরেট করহার দাঁড়াচ্ছে ৮৯ শতাংশ। মানে হলো, ১০০ টাকা মুনাফা করলে ৮৯ টাকাই আয়কর হিসেবে নিয়ে নিচ্ছে সরকার। তিনি জানান, ২০২০ সালে রবি ৭ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা যায় সরকারের কোষাগারে, যা মোট আয়ের প্রায় ৫৬ শতাংশ। এ টাকা বিভিন্ন ধরনের কর, মাশুল ও তরঙ্গ ইজারার মূল্য বাবদ দেওয়া যায়। বিপুল টাকা বিনিয়োগের পর ২০২০ সালে রবির মুনাফা ছিল মাত্র ১৫৫ কোটি টাকা।
বিজনেস আওয়ার/এন