বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পূণ:গঠিত পর্ষদ রিং সাইন ও আল-হাজ্ব টেক্সটাইলকে উৎপাদনে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কমিশনের মাইলফলক সফলতা অর্জন হতে যাচ্ছে।
জানা গেছে কমিশন গত কয়েক মাসে – আল-হাজ্ব টেক্সটাইল, রিং সাইন টেক্সটাইল, সিএন্ডএ টেক্সটাইল, এমারেল্ড অয়েল, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, বিডি ওয়েল্ডিং, ফ্যামিলিটেক্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, অগ্নি সিস্টেমস ও এপেক্স ওয়েভিং।
উৎপাদন শুরুর বিষয়ে রিং সাইন টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এখনও আমাদের কিছু ক্রয় আদেশ আছে। তবে নতুন করে উৎপাদন শুরুর ক্ষেত্রে চলতি মূলধনের ঘাটতিসহ কিছু সমস্যা আছে। সমস্যা সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। গত সপ্তাহেও পর্ষদ সভা হয়েছে। লকডাউন না থাকলে এরইমধ্যে উৎপাদন শুরু হয়ে যেত।
তবে চলতি মূলধনের ঘাটতি মেটাতে কোম্পানিটির ব্যাংক হিসেবে আইপিওর ১০০ কোটি টাকা রয়েছে। যা এখন কমিশন ফ্রিজ করে রেখেছে। তবে কোম্পানিটির উৎপাদন শুরুতে তা ব্যবহারের অনুমোদন দেবে কমিশন।
একই বিষয়ে আল-হাজ্ব টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, কোম্পানিটির উৎপাদন শুরু করতে বেশ সমস্যায় পড়েছেন তারা। প্রথমত কোম্পানির যন্ত্রপাতির সিংহভাগই বেশ পুরোনো। অনেক যন্ত্রপাতি পরিবর্তন করতে হবে। এর ওপর চলতি মূলধনে ঘাটতি আছে। সমস্যার মধ্যেও সীমিত আকারে হলেও উৎপাদনে শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। উৎপাদনে ফেরার পর বিএমআরই হবে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, জেড ক্যাটাগরিভুক্ত যেসব কোম্পানি থেকে বিনিয়োগকারী বহু বছর কোনো লভ্যাংশ পাচ্ছেন না, সেগুলোতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে পর্ষদ পুনর্গঠন করছে বিএসইসি। গত জানুয়ারি থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন হলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নতুন পর্ষদ তেমন কোনো কাজ করতে পারেনি। তবে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিজনেস আওয়ার/০১ মে, ২০২১/আরএ
One thought on “উৎপাদনে ফিরছে রিং সাইন ও আলহাজ্ব টেক্সটাইল”