ঢাকা , মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টিকা প্রতি বেক্সিমকো মুনাফা করেছে ৭৭ টাকা

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মে ২০২১
  • 62

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা বাংলাদেশে আমদানির জন্য চুক্তিবদ্ধ একমাত্র প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রতি টিকায় প্রায় ৭৭ টাকা মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। সব খরচ বাদ দেওয়ার পর টিকাপ্রতি এ মুনাফা করেছে বেক্সিমকো ফার্মা।

বাংলাদেশ সরকার, সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার মধ্যে সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় এ টিকা আমদানি করা হচ্ছে। ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা আনবে। এ তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এনেছে।

গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এ টিকা সরকারকে সরবরাহ করেছে বেক্সিমকো। ছয় মাসের মধ্যে তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা আনার কথা থাকলেও বর্তমানে ভারত থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা দেশে আসা বন্ধ রয়েছে। ভারত সরকার টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় আপাতত বাংলাদেশে সেরামের কোনো টিকা আসছে না।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মা তাদের চলতি বছরে প্রথম তিন মাস, তথা জানুয়ারি-মার্চ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ২৮ পয়সা। যা ২০২০ সালের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা, যার বড় অংশই এসেছে করোনা ভাইরাসের টিকার বাড়তি আয় থেকে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি সরকারকে ৫০ লাখ করোনার টিকা সরবরাহ করে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। সব খরচ বাদ দেওয়ার পর এ মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। তাতে প্রতি টিকায় মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৬ টাকা ৭৪ পয়সা বা প্রায় ৭৭ টাকা।

সরকারকে ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করলেও মুনাফা হিসেবে যুক্ত হয়েছে ৫০ লাখ টিকার হিসাব। কারণ হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ আলী নেওয়াজ বলেন, আমরা সরকারকে ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করেছি ঠিকই; কিন্তু জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৫০ লাখ টিকার আয় হিসাবে যুক্ত হয়েছে। কারণ ২০ লাখ টিকা এপ্রিলে সরবরাহ করা হয়েছে। তাই সেই আয় এ প্রান্তিকের হিসাবে যুক্ত হয়নি।

বিজনেস আওয়ার/০২ মে, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

টিকা প্রতি বেক্সিমকো মুনাফা করেছে ৭৭ টাকা

পোস্ট হয়েছে : ১২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মে ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা বাংলাদেশে আমদানির জন্য চুক্তিবদ্ধ একমাত্র প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রতি টিকায় প্রায় ৭৭ টাকা মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। সব খরচ বাদ দেওয়ার পর টিকাপ্রতি এ মুনাফা করেছে বেক্সিমকো ফার্মা।

বাংলাদেশ সরকার, সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার মধ্যে সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় এ টিকা আমদানি করা হচ্ছে। ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা আনবে। এ তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এনেছে।

গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এ টিকা সরকারকে সরবরাহ করেছে বেক্সিমকো। ছয় মাসের মধ্যে তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা আনার কথা থাকলেও বর্তমানে ভারত থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা দেশে আসা বন্ধ রয়েছে। ভারত সরকার টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় আপাতত বাংলাদেশে সেরামের কোনো টিকা আসছে না।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মা তাদের চলতি বছরে প্রথম তিন মাস, তথা জানুয়ারি-মার্চ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ২৮ পয়সা। যা ২০২০ সালের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা, যার বড় অংশই এসেছে করোনা ভাইরাসের টিকার বাড়তি আয় থেকে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি সরকারকে ৫০ লাখ করোনার টিকা সরবরাহ করে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। সব খরচ বাদ দেওয়ার পর এ মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। তাতে প্রতি টিকায় মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৬ টাকা ৭৪ পয়সা বা প্রায় ৭৭ টাকা।

সরকারকে ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করলেও মুনাফা হিসেবে যুক্ত হয়েছে ৫০ লাখ টিকার হিসাব। কারণ হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ আলী নেওয়াজ বলেন, আমরা সরকারকে ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করেছি ঠিকই; কিন্তু জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৫০ লাখ টিকার আয় হিসাবে যুক্ত হয়েছে। কারণ ২০ লাখ টিকা এপ্রিলে সরবরাহ করা হয়েছে। তাই সেই আয় এ প্রান্তিকের হিসাবে যুক্ত হয়নি।

বিজনেস আওয়ার/০২ মে, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: