বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : পণ্য রফতানিতে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। এপ্রিল মাসে রফতানি আয় বেড়েছে ৫০৩ শতাংশের বেশি। করোনার কারণে গত বছরের এপ্রিলে রফতানি নেমে যায় মাত্র ৫২ কোটি ডলারে। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে চলতি বছরের এপ্রিল ৩১৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়। যা গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ৫০২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।
রোববার (২ মে) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। রোববার (২ মে) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইপিবি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে ৫ এপ্রিল থেকে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করলেও তৈরি পোশাকসহ সব শিল্পকারখানার উৎপাদন অব্যাহত রাখে। ফলে, রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তাই রফতানি প্রবৃদ্ধি ছুঁলো আকাশ।
ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তৈরি পোশাক, পাট ও পাটপণ্য, চামড়া ও চামড়াপণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক পণ্য, রাসায়নিক পণ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রফতানি ইতিবাচক ধারায় ফেরার কারণেই সার্বিকভাবে পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে হিমায়িত খাদ্যের রফতানি কমেছে।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) তিন হাজার ২০৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আট দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ছয় দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) দুই দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছিল তৈরি পোশাক খাতের রফতানি। অন্যদিকে হিমায়িত মাছসহ সবধরনের হিমায়িত খাদ্যের রফতানি কমে ৯ শতাংশের মতো। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ছয় শতাংশের বেশি রফতানি কমেছে।
ফার্নিচারের রফতানি কমেছে ১৩ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি রফতানি কমেছে জাহাজ শিল্পে। এই খাতে রফতানি কমেছে ৯৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে ১০৩ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। এছাড়া ৯৫ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রফতানি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৫৪ শতাংশের বেশি।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ৭৬ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়া পণ্য, ৪৩ কোটি ডলারের প্রকৌশল পণ্য, ৩৯ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে চামড়া ও চামড়া পণ্যে সাড়ে আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/০৩ মে, ২০২১/এ