ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলমান বিধিনিষেধ বাড়ল ১৬ মে পর্যন্ত

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১
  • 56

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ আরেক দফা বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। সোমবার (৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৬ মে থেকে গণপরিবহন চলাচল করবে। তবে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবে না। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রাখতে হবে। তবে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত আগামী ১৬ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। 

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘গণপরিবহন মালিকরা আমাদের কথা দিয়েছেন, কোনভাবেই গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা হবে না। লঙ্ঘন করা হলে বন্ধ করে দেয়া হবে। সেই নির্দেশনাও দেয়া আছে। সেটা আমরা দেখব।

মার্কেট ও দোকানপাট খোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধির অন্যথা দেখলে বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত আসবে। সিটি করপোরেশন, র‍্যাব, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন বিষয়টি কঠোর মনিটর করবে। যদি মাস্কবিহীন ক্রেতা-বিক্রেতা দেখা যায় তবে বন্ধ করে দেওয়া হবে মার্কেট।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ দোকান-মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং এই নির্দেশনা তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এ কাজে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ (৩ মে) থেকে মার্কেটে পুলিশের অভিযান চলবে। মাস্ক না পরলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে মার্কেট বন্ধ করে দেবো। ক্লিয়ারলি এটা বলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মাস্কবিহীন কাউকে দেখা গেলে কোনও ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

ঈদ আগামী ১৪ মে শুক্রবার হতে পারে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোন বন্ধ দেয়া যাবে না। ঈদের ছুটি তিনদিন এর মধ্যে দুটি পড়েছে শুক্র ও শনিবার। শিল্পকারখানাও এই সময়ে বন্ধ দিতে পারবে না। সরকারি অফিস গুলো যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এবং পরে ২ দিন বিধিনিষেধ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এটি বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। যদিও শপিং মল খোলাসহ বেশকিছু বিষয়ে বিধিনিষেধের শর্ত শিথিল করে সরকার। সবশেষ ২৮ এপ্রিল বিধিনিষেধের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

বিজনেস আওয়ার/০৩ মে, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চলমান বিধিনিষেধ বাড়ল ১৬ মে পর্যন্ত

পোস্ট হয়েছে : ০১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ আরেক দফা বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। সোমবার (৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৬ মে থেকে গণপরিবহন চলাচল করবে। তবে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবে না। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রাখতে হবে। তবে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত আগামী ১৬ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। 

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘গণপরিবহন মালিকরা আমাদের কথা দিয়েছেন, কোনভাবেই গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা হবে না। লঙ্ঘন করা হলে বন্ধ করে দেয়া হবে। সেই নির্দেশনাও দেয়া আছে। সেটা আমরা দেখব।

মার্কেট ও দোকানপাট খোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধির অন্যথা দেখলে বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত আসবে। সিটি করপোরেশন, র‍্যাব, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন বিষয়টি কঠোর মনিটর করবে। যদি মাস্কবিহীন ক্রেতা-বিক্রেতা দেখা যায় তবে বন্ধ করে দেওয়া হবে মার্কেট।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ দোকান-মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং এই নির্দেশনা তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এ কাজে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ (৩ মে) থেকে মার্কেটে পুলিশের অভিযান চলবে। মাস্ক না পরলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে মার্কেট বন্ধ করে দেবো। ক্লিয়ারলি এটা বলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মাস্কবিহীন কাউকে দেখা গেলে কোনও ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

ঈদ আগামী ১৪ মে শুক্রবার হতে পারে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোন বন্ধ দেয়া যাবে না। ঈদের ছুটি তিনদিন এর মধ্যে দুটি পড়েছে শুক্র ও শনিবার। শিল্পকারখানাও এই সময়ে বন্ধ দিতে পারবে না। সরকারি অফিস গুলো যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এবং পরে ২ দিন বিধিনিষেধ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এটি বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। যদিও শপিং মল খোলাসহ বেশকিছু বিষয়ে বিধিনিষেধের শর্ত শিথিল করে সরকার। সবশেষ ২৮ এপ্রিল বিধিনিষেধের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

বিজনেস আওয়ার/০৩ মে, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: