আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা তৃতীয় বারের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পাওয়া তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আগামীকাল বুধবার (৫ মে) শপথ নেবেন তিনি। তারপর ৬ ও ৭ মে শপথ নেবেন নবনির্বাচিত বিধায়করা।

সোমবার (৩ মে) তৃণমূল ভবনে বিজয়ী বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দলের নিয়ম অনুযায়ী তৃণমূলের পরিষদীয় দলের নেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মমতা। বিষয়টি জানিয়েছেন দলের অন্যতম জেষ্ঠ্য নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

এদিন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ মমতা গেছেন রাজভবনে। সেখানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। যেহেতু রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি চলছে সেই মুহূর্তে শপথগ্রহণ কতটা ছোট আকারে করা যায় এবং কীভাবে করা হবে এবং কত অতিথিকে ডাকা হবে তা নিয়ে বৈঠক চলছে রাজভবনে।

রীতি অনুযায়ী প্রথমে মমতাকে পদত্যাগ পত্র তুলে দিতে হবে রাজ্যপালের হাতে। সেই পদত্যাগ পত্র রাজ্যপাল গ্রহণ করলে তবেই আগামী মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিতে পারবেন মমতা। ফলে সব ঠিক থাকলে বুধবার (০৫ মে) তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী গত ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আট দফায় হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভোটগ্রহণ। ২০২১ সালের নির্বাচনে বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছে ২১৩টি আসনে। বিজেপি জয় পেয়েছে ৭৭টিতে।

তবে তৃণমূলের বেশিরভাগ প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হলেও জয় পাননি দলের সভানেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম আসনে নিজের একসময়ের ‘লেফটেন্যান্ট’ এবং বর্তমান বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১ হাজার ৬২২ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন তিনি।

তাতে অবশ্য তার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা নেই। কারণ, ভারতীয় সংবিধানের ধারা অনুযায়ী, বিধানসভার সদস্য না হয়েও কেউ যদি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন, সেক্ষেত্রে তাকে নিতে হবে রাজ্যপালের অনুমতি।

হেরে যাওয়ার পরও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে এবং দলের বিধায়করা কাউকে নেতা নির্বাচিত করলে তার মুখ্যমন্ত্রী হতে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে ভোটে না জিতেও কোনো ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী হলে তাকে ওই পদে বসার ১৮০ দিন অর্থাৎ ছয় মাসের মধ্যে যে কোনো একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। তা না পারলে ছেড়ে দিতে হবে পদ।

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ২৯৪ আসনের মধ্যে এবার ২ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় দুটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে। এর মধ্যে একটি আসনে ছয় মাসের মধ্যে জিতে এলেই মমতার মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার বাধা কাটবে।

বিজনেস আওয়ার/০৪ মে, ২০২১/এ