1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : user : user
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
পিএসজিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ম্যানসিটি
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

পিএসজিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ম্যানসিটি

  • পোস্ট হয়েছে : বুধবার, ৫ মে, ২০২১
print sharing button

স্পোর্টস ডেস্ক : পিএসজিকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠলো ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথম লেগে জয়ের পর দ্বিতীয় লেগে এলো আরও দাপুটে জয়। মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ২-০ গোলে জিতেছে ম্যানসিটি।

আগের দেখায় পিএসজিকে তাদের মাঠে ২-১ গোলে হারিয়েছিল তারা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সিটি।

পিএসজি প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতে ছিল উজ্জীবিত। বল দখলে রেখে আক্রমণাত্মক ফুটবলে সিটিকে চেপে ধরে তারা। সপ্তম মিনিটে তাদের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশিও বাজান রেফারি। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিলে দেখা যায়, বল আলেকসান্দার জিনচেঙ্কোর ঘাড়ে লেগেছিল। ফলে পরিবর্তিত হয় সিদ্ধান্ত।

একাদশ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন সিটির মাহরেজ। পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ছয় মিনিট পর সমতায় ফিরতে পারত প্যারিসিয়ানরা। কিন্তু হতাশায় পুড়তে হয় তাদের। আনহেল দি মারিয়ার হাওয়ায় ভাসানো বলে মার্কুইনোসের হেড ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে।

দুই মিনিট পর নিজেদের ভুলে গোল হজম করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল সিটি। বার্নার্দো সিলভার কাছ থেকে বল কেড়ে নেন আর্জেন্টাইন উইঙ্গার দি মারিয়া। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার নেওয়া শট চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে। অথচ গোলপোস্ট ছিল ফাঁকা।

৩৬তম মিনিটে আন্দার হেরেরার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তাকে বলের যোগান দিয়েছিলেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ভীতি ছড়ালেও নিশ্চিত কোনো সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হন। সিটির দুই সেন্টার-ব্যাক রুবেন দিয়াস ও জন স্টোনস ছিলেন চীনের প্রাচীর হয়ে।

প্রথমার্ধের শেষদিকে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। মাহরেজের ডান পায়ের কোণাকুণি শট নাভাস রুখে না দিলে ব্যবধান বাড়াতে পারত তারা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা মাঠে গড়ানোর পরপরই ম্যাচের লাগাম মুঠোয় নেয় সিটি। ৫৪তম মিনিটে ফিল ফোডেনের জোরালো শট রুখে দিয়ে পিএসজিকে লড়াইয়ে রাখেন নাভাস।

তবে কিছুক্ষণ পরই লড়াইয়ের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন মাহরেজ। ৬৩তম মিনিটে ডি ব্রুইনের সঙ্গে বল আদান-প্রদান করে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ফোডেন। এরপর বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রস করেন তরুণ এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। বাকিটা অনায়াসে সারেন আলজেরিয়ার ফরোয়ার্ড মাহরেজ।

এরপর উত্তেজনা ছড়ায় মাঠে। মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে দি মারিয়া ৬৯তম মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। সিটির অধিনায়ক ফার্নান্দিনহোর পায়ে অযথা আঘাত করেন তিনি। পিএসজির ঘুরে দাঁড়ানোর যে সম্ভাবনা নিভু নিভু করে জ্বলছিল, তা শেষ হয়ে যায় তখন।

সিটির জয়ের ব্যবধান আরো বড় হতে পারত। ৭৭তম মিনিটে ফোডেনের শটে নাভাস পরাস্ত হলেও বল বাধা পায় পোস্টে। তিন মিনিট পর তার আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন পিএসজির গোলরক্ষক। বাকি সময়ে আর কোনো গোল হয়নি। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে মাতোয়ারা হয় সিটি।

বিজনেস আওয়ার/০৫ মে, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ