আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত ২১ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১০ মে) সন্ধ্যার পরপরই এ হামলার ঘটনা ঘটে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংবাদমাধ্যমটিকে জানায়, ইসরায়েলের বিমান হামলায় শিশুসহ ২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৬৫ জন। গাজার হামাস অধ্যুষিত উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট হামলা চালানো হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে সিরিজ বিমান হামলা চালায়।
গত বেশকিছুদিন ধরেই গাজা এলাকায় ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ চলছিল জেরুজালেমে। রোববার (৯ মে) লাইলাতুল কদরের রাতে আল আকসায় নামাজ আদায় শেষে উপস্থিত ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা বিক্ষোভ শুরু করলে তা দমন করতে তৎপর হয় ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী।
ওই দিনের সংঘাতে অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছিলেন। সংঘর্ষের পর থেকে আল আকসা মসজিদ ও এর সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি পুলিশ।
এর জেরে ফিলিস্তিনের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস হুমকি দেয় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন সরকারকে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১০ মে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে মসজিদ চত্বর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার না করা হলে তার পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে।
কিন্তু ইসরায়েলের সরকার এই হুমকিকে আমলে না নেওয়ায় ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামাস এই হামলা শুরু করার কিছুক্ষণ পরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে। তারা রেডলাইন অতিক্রম করায় ইসরায়েল পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে। ইসরায়েল সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে পাল্টা জবাব দেবে। যারা ইসরায়েলে আক্রমণ করবে, তাদের অবশ্যই চড়া মূল্য দিতে হবে।
বিজনেস আওয়ার/১১ মে, ২০২১/এ