বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার। ঈদের আগে আর একদিন ব্যাংক খোলা থাকবে। এ সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের বেতন-বোনাস দিতে হবে মালিকপক্ষকে। পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহকরাও প্রয়োজনীয় টাকা তুলে রাখছে। তাই ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে।
এমন অতিরিক্ত গ্রাহকের চাপে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারের কর্মকর্তাদের বেশ চাপ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।মঙ্গলবার (১১ মে) রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, দৈনিক বাংলা, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকের শাখা সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন জানান, আজ গ্রাহকের অনেক চাপ। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টাকা উত্তোলন বেশি হচ্ছে। কারণ বেতন বোনাস দেবে। তাই করপোরেট গ্রাহকরা আজই টাকা উঠাচ্ছে। অন্যদিকে আজ সকাল থেকেই ক্যাশ কাউন্টারে সাধারণ গ্রাহকদের প্রচুর ভিড়। স্বাভাবিক দিনের চেয়ে তিন চারগুণ বেশি লেনদেন হচ্ছে।
মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ঈদের আগে শেষ দুই কর্মদিবসে সব সময় গ্রাহকের ভিড় থাকে। এজন্য আগে থেকে আমরা অতিরিক্ত ক্যাশ কাউন্টারে ব্যবস্থা করেছি। আজ সকালে থেকে গ্রাহকের আজকে অনেক ভিড়। চাপ সামলাতে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছে।
মতিঝিল ইউসিবি ব্যাংকের শাখায় ক্যাশ কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঈদের কেনাকাটার জন্য টাকা তুলব। এতদিন বুথ থেকে টাকা তুলতাম। ডেবিট কার্ডসহ মানিব্যাগ হারিয়ে গেছে, ঈদের আগে পাব না। তাই টাকা তুলতে লাইনে দাঁড়িয়েছি।
এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ ৬ মে থেকে ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ সময় ব্যাংকও সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন হচ্ছে।
বিজনেস আওয়ার/১১ মে, ২০২১/এ