আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। বুধবার (১২ মে) সকালেও গাজার বেশ কয়েকটি স্থাপনায় বোমা হামলা করে দেশটির সেনারা। এতে আরও ৭ জন নিহত হয়েছেন। ফলে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন শিশুও রয়েছে। এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি।
গত সোমবার গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের গ্রুপ হামাস। ইসরায়েল অভিমুখে ২০০টিরও রকেট ছুঁড়েছে গ্রুপটি। হামাসের ওই রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
গত বেশকিছুদিন ধরেই গাজা এলাকায় ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ চলছিল জেরুজালেমে। রোববার (৯ মে) লাইলাতুল কদরের রাতে আল আকসায় নামাজ আদায় শেষে উপস্থিত ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা বিক্ষোভ শুরু করলে তা দমন করতে তৎপর হয় ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী।
ওই দিনের সংঘাতে অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছিলেন। সংঘর্ষের পর থেকে আল আকসা মসজিদ ও এর সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি পুলিশ। এর জেরে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন সরকারকে হুঁশিয়ারি দেয় হামাস।
দলটি জানায়, ১০ মে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ চত্বর থেকে নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার না করা হলে তার পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে। কিন্তু ইসরায়েলের সরকার এই হুমকিকে আমলে না নিলে ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস।
হামাস এই হামলা শুরু করার কিছুক্ষণ পরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
আলজাজিরা বলছে, গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় তেল আল-হাওয়া এলাকায় নিজেদের বাড়িতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় চার মাসের অন্তসত্ত্বা এক নারী ও তার পাঁচ বছর বয়সী শিশু সন্তান নিহত হয়েছেন। নিহত ওই অন্তসত্ত্বা নারীর নাম রীম এবং তার শিশু সন্তানের নাম জায়িদ।
এছাড়া তেল আল-হাওয়া এলাকারই একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বোমা হামলার পর ভবন ধসে তিন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন।
বিজনেস আওয়ার/১২ মে, ২০২১/এ
