আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও। দেশটিতে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির মধ্যেই সংঘাত আরও ছড়ালো।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যদিও আলজাজিরা বলছে, নিহতের সংখ্যা ১১। আর আহত হয়েছেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক।
চলমান হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও আগুন নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরাও পেট্রোল বোমা ছুড়ে প্রতিবাদ করে।
মনে করা হচ্ছে পশ্চিম তীরের সহিংসতাগুলোর মধ্যে এই সংঘাত সর্বোচ্চ মাত্রা পেয়েছে। ফিলিস্তিনের এই অংশে সহিংসতা এমন সময়ে ছড়ালো যখন বিশ্ব সম্প্রদায় শান্তির আহ্বান জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অবৈধ দখলদারিত্বের প্রতিবাদে গত ৯ মে রাতে আল-আকসায় মসজিদে শবে কদরের (লায়লাতুল কদর) নামাজ আদায় শেষে মসজিদ চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন সেখানে উপস্থিত ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা।
স্বাভাবিকভাবেই তা দমাতে তৎপর হয়ে ওঠে ইসরায়েলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যকার সংঘাতে আহত হন অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি।
সংঘাতের পর থেকে আল-আকসা মসজিদ ও এর সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রাখে ইসরায়েলি পুলিশ। এর জেরে ফিলিস্তিনের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস হুমকি দেয় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন সরকারকে।
হামাসের পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়, ১০ মে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ চত্বর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার না করা হলে তার পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে।
ইসরায়েল এই হুমকিকে আমলে না নেওয়ায় ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। এরপর চলতে থাকে হামলা-পাল্টা হামলা।
বিজনেস আওয়ার/১৫ মে, ২০২১/এ