আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ২১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার (১৯ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২১৮ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৩টি শিশুও রয়েছে। আর দুই শিশুসহ ইসরায়েলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২ জন। সেখানে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ মে) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনে চলমান বিমান হামলার আট দিন পর উভয়পক্ষকে ‘যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানান। তিনি ফোন কলের মাধ্যমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
গত ১০ মে সহিংসতা শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তৃতীয়বারের মতো মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন দেন এবং যুদ্ধবিরতির জন্য সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাইডেন চলমান সহিংসতার অবসান ঘটাতে এই আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেপ বোরেল এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ইইউভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে এক ভার্চুয়াল কনফারেন্সের পরে এ আহ্বান জানান।তিনি বলেন, এই আহ্বানের পক্ষে হাঙ্গেরি ছাড়া ব্লকের সব সদস্য দেশ সমর্থন দিয়েছে।
গত ৯ দিনের সংঘাতে এ পর্যন্ত গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ৪৮ হাজার থেকে ৫২ হাজার মানুষ। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান হামলা ও আর্টিলারি গোলার আঘাত থেকে বাঁচতে তারা বাড়িঘর ছেড়ে জাতিসংঘ পরিচালিত ৫৮ টি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েল সেনা বাহিনীর হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশ’ ভবন গুড়িয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই ভবনগুলোর মধ্যে ছয়টি হাসপাতাল ও কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও আছে।
বিজনেস আওয়ার/১৯ মে, ২০২১/এ