আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসারায়েলি বর্বর হামলায় বিধ্বস্ত গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তার প্রথম কনভয় পৌঁছেছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেগুলো পৌঁছায় বলে শনিবার (২২ মে) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশের জন্য ইসরায়েল কেরেম শ্যালন ক্রসিং খুলে দেয়। এরপরই জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি সহায়তা সংস্থার দেওয়া জরুরি ওষুধ, খারার ও জ্বালানি নিয়ে ভূখণ্ডটিতে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি ট্রাক।
এদিকে ইসরায়েলি হামলার সময় বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিরা যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর আবারও নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে তাদের বেশিরভাগেরই বাড়ি-ঘর হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ১১ দিনের এই ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখণ্ডে প্রায় ২৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শতাধিক নারী ও শিশু রয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই গাজার বাসিন্দা।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলায় হামাসের কমপক্ষে ১৫০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। হামাস অবশ্য নিজেদের যোদ্ধাদের হতাহতের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে তাদের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন যে, আপাতত যুদ্ধবিরতি হলেও ফের যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার সম্ভাবনা কেবল সময়ের ব্যাপার।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে নিজেদের বিজয় বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। অপরদিকে ইসরায়েলও দাবি করছে তারা বিজয়ী। ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারাও যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর উল্লাস করেছেন। তবে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, আবারও সংঘাত শুরুর ঘটনা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর গাজা এবং ফিলিস্তিনের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় নেমে হাজার হাজার মানুষকে উল্লাস করতে দেখা যায়। এ সময় তারা ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শন করেন এবং বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। এছাড়া এ সময় গাজার মসজিদ থেকে মাইকে আল্লাহর প্রশংসাসূচক বক্তব্যও শোনা যায়।
বিজনেস আওয়ার/২২ মে, ২০২১/এ