ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর আম যাবে ইউরোপের চার দেশে

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১
  • 96

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (রাজশাহী) : রাজশাহীর আমের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে কয়েক বছর ধরেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে রাজশাহীর আম। এ বছরও ইউরোপের চার দেশে যাবে রাজশাহীর আম। এসব আমে কোনো ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার হয়নি।

বেসরকারি উদ্যোগে জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি ও সুইজারল্যান্ডে যাবে রাজশাহীর হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি ও তোতাপুড়ি আম। ‘বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন’ নামের একটি সংগঠন আম রপ্তানি করবে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিদেশে আম রপ্তানি করতে হলে ২৬টি শর্ত মানতে হয়। ‘ব্যাগিং’ হচ্ছে শর্তগুলোর একটি। তবে ব্যাগিং করা না হলেও আমের মান ভালো হলে রপ্তানি করা যায়। তবে বিদেশ পাঠাতে হলে সব আম কোয়ারেন্টিন পরীক্ষা করা হয়।

এজন্য রপ্তানিকারকরা আম ঢাকার শ্যামপুর প্ল্যান কোয়ারেন্টিন উইং সেন্ট্রাল প্যাকিং হাউসে নিয়ে যান। সেখানে আমের মান ভালো হলে প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপরই জাহাজে করে আম বিদেশে যায়।

জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহকারী উপ পরিচালক তৌফিকুর রহমান বলেন, স্থানীয় আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের বিদেশে রপ্তানিযোগ্য আম কিভাবে উৎপাদন, সংগ্রহ ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা করা যায়- এ নিয়ে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি এবার আম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

এর আগে, ২০১৯ সালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজশাহীর প্রায় ৩৫.৭৫ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছিল। এর মধ্যে গোপালভোগ, ল্যাংড়া, আম্রপালি, হিমসাগর ছিলো।

করোনার কারণে ২০২০ সালে রাজশাহী থেকে কোনো আম সরকারিভাবে রপ্তানি হয়নি। তবে ‘বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন’ ৯ মেট্রিক টন এবং অন্যান্য উপজেলা থেকে ১২ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আম ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম রাজু বলেন, বিদেশিদের শর্ত মেনে ২০১৬ সাল থেকে আম রপ্তানি করছেন তারা। এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। এবারও তারা উন্নত ‘ফ্রুট ব্যাগিং’ পদ্ধতিতে ভালোভাবে আম চাষ করেছেন। আশা করছেন রপ্তানি করতে পারবেন।

বাঘার আরেক আম ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া বলেন, করোনার কারণে রাজশাহীর আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে বাইরে আম রপ্তানি করতে না পেরে। করোনার কারণে গত বছর সরকারিভাবে আম রপ্তানি হয়নি। তবে, এবার ৩৩৩ মেট্রিক টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া রয়েছে।

জানতে চাইলে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরীফুল হক বলেন, রাজশাহীর কয়েকটি উপজেলা থেকে এবার ইউরোপের চার দেশে বেসরকারি আম রপ্তানি হবে। আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে।

বিজনেস আওয়ার/২২ মে, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রাজশাহীর আম যাবে ইউরোপের চার দেশে

পোস্ট হয়েছে : ০২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (রাজশাহী) : রাজশাহীর আমের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে কয়েক বছর ধরেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে রাজশাহীর আম। এ বছরও ইউরোপের চার দেশে যাবে রাজশাহীর আম। এসব আমে কোনো ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার হয়নি।

বেসরকারি উদ্যোগে জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি ও সুইজারল্যান্ডে যাবে রাজশাহীর হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি ও তোতাপুড়ি আম। ‘বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন’ নামের একটি সংগঠন আম রপ্তানি করবে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিদেশে আম রপ্তানি করতে হলে ২৬টি শর্ত মানতে হয়। ‘ব্যাগিং’ হচ্ছে শর্তগুলোর একটি। তবে ব্যাগিং করা না হলেও আমের মান ভালো হলে রপ্তানি করা যায়। তবে বিদেশ পাঠাতে হলে সব আম কোয়ারেন্টিন পরীক্ষা করা হয়।

এজন্য রপ্তানিকারকরা আম ঢাকার শ্যামপুর প্ল্যান কোয়ারেন্টিন উইং সেন্ট্রাল প্যাকিং হাউসে নিয়ে যান। সেখানে আমের মান ভালো হলে প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপরই জাহাজে করে আম বিদেশে যায়।

জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহকারী উপ পরিচালক তৌফিকুর রহমান বলেন, স্থানীয় আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের বিদেশে রপ্তানিযোগ্য আম কিভাবে উৎপাদন, সংগ্রহ ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা করা যায়- এ নিয়ে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি এবার আম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

এর আগে, ২০১৯ সালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজশাহীর প্রায় ৩৫.৭৫ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছিল। এর মধ্যে গোপালভোগ, ল্যাংড়া, আম্রপালি, হিমসাগর ছিলো।

করোনার কারণে ২০২০ সালে রাজশাহী থেকে কোনো আম সরকারিভাবে রপ্তানি হয়নি। তবে ‘বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন’ ৯ মেট্রিক টন এবং অন্যান্য উপজেলা থেকে ১২ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আম ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম রাজু বলেন, বিদেশিদের শর্ত মেনে ২০১৬ সাল থেকে আম রপ্তানি করছেন তারা। এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। এবারও তারা উন্নত ‘ফ্রুট ব্যাগিং’ পদ্ধতিতে ভালোভাবে আম চাষ করেছেন। আশা করছেন রপ্তানি করতে পারবেন।

বাঘার আরেক আম ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া বলেন, করোনার কারণে রাজশাহীর আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে বাইরে আম রপ্তানি করতে না পেরে। করোনার কারণে গত বছর সরকারিভাবে আম রপ্তানি হয়নি। তবে, এবার ৩৩৩ মেট্রিক টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া রয়েছে।

জানতে চাইলে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরীফুল হক বলেন, রাজশাহীর কয়েকটি উপজেলা থেকে এবার ইউরোপের চার দেশে বেসরকারি আম রপ্তানি হবে। আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে।

বিজনেস আওয়ার/২২ মে, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: