বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : টানা ৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (২৪ মে) থেকে বাস-ট্রেন-লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী, অর্ধেক আসন খালি রাখায় ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়ায় দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল করছে। অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।স্বাস্থবিধি মেনে চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল শুরু করেছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, অর্ধেক আসন খালি রাখায় ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়ায় দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল করছে।
এর আগে রোববার (২৩ মে) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচলের জন্য চার দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
যার মধ্যে রয়েছে- কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না, কোনোভাবেই বিদ্যমান ভাড়ার ৬০ শতাংশের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি নিয়ে শুরু হয়েছে ট্রেনযাত্রা। সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী, অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। এদিন সকাল থেকে অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে আবারও গন্তব্যে ছুটছে ট্রেন।সকাল ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সিলেটের উদ্দেশে ‘পারাবত এক্সপ্রেস’ এবং চট্টগ্রামের উদ্দেশে ‘মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেসকে’ ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। দুটি ট্রেনই ছিল বেশ ফাঁকা।
কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, সোমবার (২৪ মে) ভোর ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। এর আগে লোকাল ট্রেন বলাকা এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়।
এর আগে রোববার (২৩ মে) রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানান, সোমবার ২৮ জোড়া আন্তঃনগর ও নয় জোড়া এক্সপ্রেস-কমিউটার ট্রেন দিয়ে শুরু হবে ট্রেন চলাচল। এক আসন ফাঁকা রেখে বিক্রি হবে টিকিট। ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না, সব টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে।
যাত্রীদের উদ্দেশে বাংলাদেশ রেলওয়ে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রয় করা হবে, আসনবিহীন কোনো টিকিট থাকবে না, টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না, বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত রেলভ্রমণ করবেন না এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না।
এর আগে ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী সব ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে। এরই মধ্যে ৭ এপ্রিল থেকে কৃষিজাত পণ্য ও পার্শ্বেল পরিবহনে চার জোড়া নতুন ট্রেন পরিচালনা করা হয়।
অপরদিকে সোমবার ভোর থেকে সারাদেশে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দীর্ঘদিন লঞ্চ চলাচল বন্ধের কারণে যেমন যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ঠিক তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লঞ্চ মালিকরাও। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট, আরিচা-কাজিরহাট ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজনেস আওয়ার/২৪ মে, ২০২১/এ