বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : নজিরবিহীন দুর্নীতির কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। আর এই অভিযোগের তীর বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম এবং ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান আজাদ টিটুর দিকে। এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর (বর্তমান এবং সাবেক) ভবিষ্যত অন্ধকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় ও উঠে এসেছে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার ভয়াবহ চিত্র। এদিকে অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জমি বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছে রায়হান আজাদ টিটু। সরকারী মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের ঋন খেলাপির হোতা টিটুর বিরুদ্ধে দুদকে তদন্ত চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৪০ কোটি টাকা দায়ের মধ্যে ২০২ কোটি টাকা (সুদ-আসল সহ) ফারইষ্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নিকট (যা সাধারণ বিমাকারীদের টাকা)।তৃতীয় পক্ষের নিকট দায় ৩১.৫ কোটি টাকা। এছাড়া উৎসে কর্তিত ভ্যাট-ট্যাক্স বাবদ আরো ৫.৫ কোটি টাকা সরকারের নিকট অপরিশোধিত। আয়কর আইন অনুযায়ী যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিবিধ দায় আরো ১ কোটি টাকা। ৭ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ক্যামপাস স্টার টাওয়ার এর ভাড়া বকেয়া।৫ মাস ধরে বকেয়া টেক্সটাইল ভবনের ভাড়া। ২২ এপ্রিল ২০২১ এর হিসাব বিভাগিয় প্রতিবেদন অনুযায়ী ভাড়া বাবদ বকেয়া ৩ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা (প্রায় )।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সেটেলার এবং সাবেক চেয়ারম্যান এম এ ওয়াহাবকে নিয়োগের দুই দিনের মধ্যে কৌশলে সরিয়ে চেয়ারম্যান হন মো: নজরুল ইসলাম। ট্রাস্টি বোর্ড ও গঠিত হয়েছে অবৈধ ভাবে।এই বোর্ড এবং প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি দ্বারা নিবন্ধিত নয়। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে রায়হান আজাদ টিটুর নিয়োগ ট্রাস্ট আইনের সুস্পষ্ট লংঘন।
ফারইষ্ট ইসলামি লাইফ ১৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ট্রাস্টের ৫ টি সদস্যপদের বিনিময়ে । সাধারণ বীমা কারীদের টাকা এই ভাবে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা বীমা কোমপানী আইনের স্পষ্ট লংঘন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত কোন ভিসি, প্রো ভিসি, ট্রেজারার নেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), লাইব্রেরিয়ান এর মত গুরুত্বপূর্ণ পদে কেউ নেই। দুর্নীতিবাজ এই সিন্ডিকেটের জন্য যোগ্য লোক এখানে থাকতে পারছেনা। সৎ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়মিত ছাঁটাই চলছে। আতঙ্কে এবং মান সম্মানের ভয়ে অনেকে নিজেরাই চাকরী ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
এছাড়া ট্রাস্টি বোর্ড থেকে এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সেটেলারের উত্তরসুরি ওয়াহিদ মুরাদ জামিল, সদস্য এম এন এইচ বুলু, ভাইস চেয়ারম্যান কেএম খালেদকে সরানোর চেষ্টা চলছে। এই সুযোগে রায়হান আজাদ টিটু এবং হাবিবুর রহমান (উপ পরিচালক অর্থ ও হিসাব) নিয়োগ বাণিজ্য করে প্রচুর টাকা নিয়োগ প্রার্থীদের থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।
একই সাথে দুর্নীতির মাধ্যমে কেনাকাটায় প্রচুর অর্থ সরানো হচ্ছে। রায়হান আজাদ টিটু এবং হাবিবুর রহমান এই দুর্নীতির মুল হোতা। শুধু তাই নয় অবৈধ ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান আজাদ টিটুর বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ ও রয়েছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে আর্থিক অনিয়ম ও জাল সার্টিফিকেট বিক্রয়ের অভিযোগও রয়েছে।টিটু বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাফে এবং স্টেশনারী দোকান দিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা সরিয়ে নিয়েছেন কোন সেবা না দিয়ে। আরো ৭.৫ লক্ষ টাকা সরানোর ব্যবস্থা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সিকিউরিটি কোমপানী ‘গ্রুপ ফোর’ বাদ দিয়ে নিজের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোমপানী নিয়োগ দিয়েছেন। মার্কেটিং, ক্লিনিং, মেইনটেন্যনস ইনটেরিয়র সহ সকল কাজ টিটু নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়া একাডেমিক কার্যক্রমে ও টিটু অযাচিত হস্তক্ষেপ করেন।
ফারইষ্ট লাইফের হিসাব বিভাগের একজন জুনিয়র কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। সব মিলিয়ে ৩৬ হাজার টাকা বেতন পেত। কিন্তু তাকে ৮২ হাজার টাকা বেতনে উপপরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি অফিসের একটি গাড়ী ও ব্যবহার করতেন।ব্যাপক সমালোচনার মুখে সম্প্রতি তার গাড়ী সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে।যার হিসাব বিভাগ পরিচালনার নুন্যতম যোগ্যতা ও নেই। উপপরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠে চেয়ারম্যানের নিকটাত্মীয় হাবিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ,কর্মকর্তা,কর্মচারীর সাথে দুরব্যবহার তার নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা। টিটুর সাথে যোগসাজশে হাবিব আয়কর মামলা নিষ্পত্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিশিয়াল মামলার খরচ, আর জে এস সি খরচ, কনসালটেন্সি ফি, ভুয়া কেনা কাটা দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা সরিয়ে নিয়েছে। ২০১৬-২০১৭ করবর্ষের আয়কর অফিসের খরচ দেখিয়ে ২০ লক্ষ টাকা সরিয়ে নেয় টিটু হাবিব গং। যদিও কর মামলাটি পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিল।
টিটুর নিকট আত্মিয় মেজর আনিসউদদৌলা (অব:) কে ডেপুটি রেজিস্টার হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ১ লক্ষ টাকা বেতনে গাড়ী সুবিধা সহ। যার বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার কোন অভিজ্ঞতা ই নেই। টিটুর এজেন্ডা বাস্তবায়ণ ই যার মুল কাজ।
ট্রেজারার পদে বোর্ড এর একজন সদস্যকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে মাসিক দেড় লক্ষ টাকা বেতনে এবং পূর্ণকালীন গাড়ী সুবিধা সহ। যার হিসাব রক্ষণের পুর্ব কোন অভিজ্ঞতাই নেই। এমনকি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা ও নেই। তিনি ট্রেজারার হিসাবে বেতন ও নেন আবার বোর্ড সদস্য হিসাবে মিটিং ফি ও নেন। নিয়মিত অফিসে ও আসেন না। তিনি টিটু এবং হাবিব এর পরামর্শ অনুসারে চেক এবং অন্যান্য অফিসিয়াল কাগজে স্বাক্ষর করেন। আভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন পেয়ে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে উপরন্তু তিনি তা ধামা চাপা দেয়ার ব্যবস্হা করেছেন।
এদিকে দুর্নীতির ভয়াবহতা টের পেয়ে সাবেক ভিসি ড. হান্নান চৌধুরী মেয়াদ পূর্তির আগেই চলে গেছেন। যাবার আগে ইউ জি সি এবং শিক্ষামন্ত্রনালয়ে দুর্নীতির ঘটনা অবহিত করে গেছেন বলে জানা গেছে। যদিও ভিসির মুখ বন্ধ রাখতে টিটু নিয়ম ভেংগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ লক্ষ টাকার গাড়ী দিয়ে দিয়েছেন করোনাকালীন কর্তিত বেতনের সমন্বয় দেখিয়ে। দুর্নীতিতে অসহযোগিতার কারণে বর্তমান ভিসি (ভারপ্রাপ্ত) ড. হুমায়ুন কবিরকেও সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনাও মোটামুটি চুড়ান্ত।
অদক্ষ, অযোগ্য ও নিকটাত্মীয়দের দায়িত্বশীল পদে বসিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ লুটের নীল নকশা বাস্তবায়ন করছেন টিটু-হাবিব গং। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবস্থায় বোর্ড ভেঙে দিয়ে অনতিবিলম্বে প্রশাসক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া জরুরী বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তা না হলে এ বছরই বন্ধ হয়ে যেতে পারে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার অনিয়মের বাপারে জানতে চাইলে প্রধান ইন্টারনাল অডিট কর্মকর্তা মাসুদ করিম জানান, আমি নতুন জয়েন করেছি আমি কিছু বিষয় শুনেছি মাত্র। এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। আর আমার কিছু বলারও নেই।
আর্থিক অনিয়মের ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, এমন কাজ করার প্রশ্নই আসে না। আমি কোন ভাবেই এসবের সঙ্গে জড়িত নই। আপনাকে যারা তথ্য দিয়েছে তারা ভুল তথ্য দিয়েছে। আর ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান আজাদ টিটু স্যার ভালো মানুষ। তিনি এসবের সুযোগ দেন না।
অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ওয়াহিদ মুরাদ জামিল বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতি এখানে নতুন কিছু নয়। যেহেতু এটা একপেশে ভাবে পরিচালিত হয় সেহেতু আমরা অনেক শুনেছি তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে লোন নিয়ে এসেছে সেগুলো এখানে ইউটিলাইজেশন হয়নি। এসব লোনের টাকা কতিপয় লোকের পকেটে চলে গেছে। আবার শুনি এফডিআর ভেঙে ফেলে। এফডিআর ভেঙে ফেলে সেই টাকা কোথায় কাজে লাগায় সেটাও আমরা বুঝে উঠতে পারি না।
তিনি বলেন, আমি সেটেলারের পরিবারের। কিন্তু এখানে একপেশে থাকার কারণে সম্মানের একটা ব্যাপার থাকে। অনেক সময় আমাদের সেখানে যেতেও খারাপ লাগে। আমরা শুনি শতশত কোটি টাকা লোন নিয়েছে, আবার এটা বেড়ে অনেক হয়েছে। এটা তদন্ত করলে জানা যাবে, এই টাকা গুলো আসলো কোথা থেকে , কিভাবে আসল ,কারা দিল, আর গেলো কোথায়।
মুরাদ জামিল বলেন, এখানে ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান আজাদ টিটু আছেন তিনি কখনই ওই পদে থাকতে পারেন না। আমি একবার প্রতিবাদ করেছিলাম কিন্তু তারা তাদের মতো করেই কাজ করে। আমরা নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই চালানোর কথা বলি কিন্তু তারা কিছুই শুনে না। এর আগের ভিসি বাধ্য হয়ে সন্মান নিয়ে চলে গেছেন। অনিয়ম করে অনেক ভালো এবং দক্ষ লোককে চাকুরিচ্যুত করে অযোগ্য লোক আনা হয়েছে। বেশি বেতন দিয়ে লোক আনা হয়েছে, কারণ সেসব লোক যেন তাদের কথা শোনে।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সাহেবের ওয়াইফের রিপ্রেজেন্টেটিভ টিটো সাহেব। উনি এখানকার মেম্বার হতে পারে কিন্তু কোনও ভাবেই ভাইস চেয়ারম্যান হতে পারেন না। সে তো নীতিনির্ধারক হতে পারে না। টিটো সাহেবর নির্দেশেই নিয়োগ বানিজ্য চলছে। আমাদের মাঝে মাঝেই বলে আমাদের এখান থেকে বের করে দেয়া হবে। একজন সেটেলারের পরিবারের সদস্য হয়েও আমাকে এ ধরনের কথা শুনতে হয়। অনিয়মের পাহাড়া তার বিরুদ্ধে। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই। অদৃশ্য ক্ষমতা আছে তাদের।
ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান আজাদ টিটুর স্বেচ্ছাচারিতার ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা লুতফর বলেন, উনি নিজে তো কিছু করতেন না। বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে করাতেন। ক্যাম্পাসের ওয়েটিং রুম ও ক্যান্টিন নিয়ে অনিয়ম হয়েছে। ওনার বন্ধু আকাশের মাধ্যমে নিজের পছন্দের লোক নিয়োগ দেন। অপছন্দের লোক ছাটাই করে অনিয়ম করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ক্রয় কর্মকর্তা মো: ইকবাল বলেন পুরো ক্রয় , স্টোর এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব রত সকল কর্মকর্তা ছাঁটাই করা হয়েছে শুধুমাত্র টিটু -হাবিব গংদের দুর্ণীতির পথ সুগম করতে। এমনকি গ্রুপ ফোর এর সিকিউরিটি গার্ড বদলে টিটু তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি নিয়োগ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে ভিসি (ভারপ্রাপ্ত) ড. হুমায়ুন কবির বলেন, প্রত্যেকটা ভিসি একটা ভিষন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে যদি আমার ভিষনের মিল না হয় তাহলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। আমার ভিষন হলো কোয়ালিট এডুকেশন ও এখানে যে ফ্যাকাল্টি আছে তাদেরকে ভালো পরিবেশ তৈরি করে দেয়া, কোর্স কারিকুলাম করা। এডমিনিস্ট্রেশন যারা থাকবে তারা আমাকে সাপোর্ট দেবে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় এরকম হয় ভিসি সাহেব করবেন একাডেমিক আর এডমিনিস্ট্রেশন চালাবেন ট্রাস্টি বোর্ডের একজন, সেটা তো হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আমি নিজেই চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষক ও কিছু কর্মকর্তাচাইনি আমি এখান থেকে চলে যাই। আমি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটা সাড়ে ৬কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়ে এসেছি। প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় টপ র্যাংকিং বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া স্বত্তেও শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত ভাবেই এনেছি। এটা কেও কল্পনা করতে পারবেন না।
আভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় উঠে আসা অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিসি ড. হুমায়ুন কবির বলেন, আসোলে আমার কাজ হলো কিভাবে একাডেমিক ইন্সটিটিউশন ভালো করা যায় সেটা করা। অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কারণ এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
এসব বিষয়ে জানার জন্য প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডেরে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি ফোনকল ধরেননি।
বিজনেস আওয়ার/২৪ মে, ২০২১/এ