ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আনার নানা চেষ্টার মধ্যে এফডিআর করতে সোনালি লাইফের আইপিও

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
  • 66

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আনার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এলক্ষ্যে বিদেশের মাটিতে রোড শো পর্যন্ত করেছে। এছাড়া বাজারকে সাপোর্ট দিতে কয়েক হাজার কোটি টাকার অবণ্ঠিত লভ্যাংশ দিয়ে তহবিল গঠনের জন্য আইন করা, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সক্ষমতা বাড়াতে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৮ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহসহ নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বিএসইসি। কিন্তু সেই বিএসইসিই এফডিআর করার জন্য সোনালি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিও অনুমোদন দিয়েছে।

এমনকি বিগত কমিশন বীমা কোম্পানিকে আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে আইপিওর একটি অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করলেও বর্তমান কমিশন সেখান থেকে ফিরে এসেছে। বিগত কমিশন আইপিওর একটি অংশ শেয়ারবাজারে রেখে সাপোর্ট দিতে এই নিয়ম করেছিল।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ারবাজারের লক্ষ্য শিল্পায়নে অর্থায়ন করা। এজন্য উৎপাদনশীল কোম্পানিকে আইপিও দিতে হবে। কিন্তু এফডিআর করতে কোন কোম্পানিকে আইপিও দেওয়া শেয়ারবাজারের উদ্দেশ্য হতে পারে না। এই এফডিআর করতে বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই পারে। এজন্য বীমা কোম্পানির দরকার পড়ে না।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বিজনেস আওয়ারকে বলেন, বীমা কোম্পানিগুলোর প্রফেশনালিজমের অনেক ঘাটতি রয়েছে। তারা অর্থের সঠিক ব্যবহার করতে পারে না। এছাড়া মাঝেমধ্যেই শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট রয়েছে। সেখানে এফডিআর করতে বীমা কোম্পানির অর্থ উত্তোলন কতটা সঠিক হবে, তা বোধগম্য নয়। বরং আমি হলে এফডিআর ভেঙ্গে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য বলতাম। এখন অনেক কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগ করার মতো অবস্থায় রয়েছে।

শেয়ারবাজার থেকে সোনালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই যেখানে বিনিয়োগ করতে পারে, সেখানে সোনালি লাইফ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বড় অংশ ব্যাংকে এফডিআর করবে। এ কোম্পানিটিকে বিএসইসি আগামি ৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য সময় নির্ধারন করে দিয়েছে।

কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে টাকা নিয়ে ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা এফডিআর ও ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করবে। বাকি ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আইপিওতে ব্যয় হবে।

অথচ এই কোম্পানির হাতেই ৫৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা রয়েছে। এরমধ্যে ৫২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এফডিআর, ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, কোম্পানিতে নগদ ২১ লাখ টাকা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, ট্রেজারি বন্ড ও বিনিয়োগে রয়েছে ৪৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/২৫ মে, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

3 thoughts on “শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আনার নানা চেষ্টার মধ্যে এফডিআর করতে সোনালি লাইফের আইপিও

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আনার নানা চেষ্টার মধ্যে এফডিআর করতে সোনালি লাইফের আইপিও

পোস্ট হয়েছে : ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আনার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এলক্ষ্যে বিদেশের মাটিতে রোড শো পর্যন্ত করেছে। এছাড়া বাজারকে সাপোর্ট দিতে কয়েক হাজার কোটি টাকার অবণ্ঠিত লভ্যাংশ দিয়ে তহবিল গঠনের জন্য আইন করা, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সক্ষমতা বাড়াতে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৮ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহসহ নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বিএসইসি। কিন্তু সেই বিএসইসিই এফডিআর করার জন্য সোনালি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিও অনুমোদন দিয়েছে।

এমনকি বিগত কমিশন বীমা কোম্পানিকে আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে আইপিওর একটি অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করলেও বর্তমান কমিশন সেখান থেকে ফিরে এসেছে। বিগত কমিশন আইপিওর একটি অংশ শেয়ারবাজারে রেখে সাপোর্ট দিতে এই নিয়ম করেছিল।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ারবাজারের লক্ষ্য শিল্পায়নে অর্থায়ন করা। এজন্য উৎপাদনশীল কোম্পানিকে আইপিও দিতে হবে। কিন্তু এফডিআর করতে কোন কোম্পানিকে আইপিও দেওয়া শেয়ারবাজারের উদ্দেশ্য হতে পারে না। এই এফডিআর করতে বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই পারে। এজন্য বীমা কোম্পানির দরকার পড়ে না।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বিজনেস আওয়ারকে বলেন, বীমা কোম্পানিগুলোর প্রফেশনালিজমের অনেক ঘাটতি রয়েছে। তারা অর্থের সঠিক ব্যবহার করতে পারে না। এছাড়া মাঝেমধ্যেই শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট রয়েছে। সেখানে এফডিআর করতে বীমা কোম্পানির অর্থ উত্তোলন কতটা সঠিক হবে, তা বোধগম্য নয়। বরং আমি হলে এফডিআর ভেঙ্গে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য বলতাম। এখন অনেক কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগ করার মতো অবস্থায় রয়েছে।

শেয়ারবাজার থেকে সোনালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই যেখানে বিনিয়োগ করতে পারে, সেখানে সোনালি লাইফ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বড় অংশ ব্যাংকে এফডিআর করবে। এ কোম্পানিটিকে বিএসইসি আগামি ৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য সময় নির্ধারন করে দিয়েছে।

কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে টাকা নিয়ে ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা এফডিআর ও ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করবে। বাকি ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আইপিওতে ব্যয় হবে।

অথচ এই কোম্পানির হাতেই ৫৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা রয়েছে। এরমধ্যে ৫২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এফডিআর, ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, কোম্পানিতে নগদ ২১ লাখ টাকা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, ট্রেজারি বন্ড ও বিনিয়োগে রয়েছে ৪৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/২৫ মে, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: