ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মে মাসেও রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
  • 42

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনার প্রকোপের মধ্যেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছে। চলতি মে মাসের প্রথম ২০ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১৫৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যা গত বছরের একই সয়ময়ের পুরো মে মাসের অংককে ছাড়িয়ে গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মে পুরো মাসে (৩১ দিনে) রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। সেই হিসাবে ২০ দিনেই পুরো মাসের চেয়ে ৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়রে এ গতি অব্যাহত থাকলে চলতি মে মাস শেষে রেমিট্যান্স আহরণ ২৪০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই‌ মাসে রেকর্ড রে‌মিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রে‌মিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এর আগে কোনো একক মাসে এতো রে‌মিট্যান্স আসেনি।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশি শ্রমিকেরা আছেন, এমন অনেক দেশ এখনো লকডাউন হয়নি। আবার লকডাউন হলেও পরিবার চালাতে ঋণ করে হলেও অনেকে টাকা পাঠাচ্ছেন। করোনার কারণে উন্নত দেশ থেকেও আয় আসা বেড়েছে। তবে এভাবে কতদিন আসবে তা অনিশ্চিত।

তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৭ কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার ৭১২ কোটি টাকা)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে।

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে ১০ মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলের প্রবাসীরা। অর্থবছর হিসেবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। তারও আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এছাড়া ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।

ওয়েব আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৬ থেকে ৭ লাখ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করেন। তারা বছরে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা, এ অংক দেশের মোট রফতানি আয়ের অর্ধেকের বেশি।

বিজনেস আওয়ার/২৫ মে, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মে মাসেও রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া

পোস্ট হয়েছে : ০২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনার প্রকোপের মধ্যেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছে। চলতি মে মাসের প্রথম ২০ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১৫৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যা গত বছরের একই সয়ময়ের পুরো মে মাসের অংককে ছাড়িয়ে গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মে পুরো মাসে (৩১ দিনে) রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। সেই হিসাবে ২০ দিনেই পুরো মাসের চেয়ে ৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়রে এ গতি অব্যাহত থাকলে চলতি মে মাস শেষে রেমিট্যান্স আহরণ ২৪০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই‌ মাসে রেকর্ড রে‌মিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রে‌মিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এর আগে কোনো একক মাসে এতো রে‌মিট্যান্স আসেনি।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশি শ্রমিকেরা আছেন, এমন অনেক দেশ এখনো লকডাউন হয়নি। আবার লকডাউন হলেও পরিবার চালাতে ঋণ করে হলেও অনেকে টাকা পাঠাচ্ছেন। করোনার কারণে উন্নত দেশ থেকেও আয় আসা বেড়েছে। তবে এভাবে কতদিন আসবে তা অনিশ্চিত।

তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৭ কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার ৭১২ কোটি টাকা)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে।

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে ১০ মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলের প্রবাসীরা। অর্থবছর হিসেবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। তারও আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এছাড়া ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।

ওয়েব আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৬ থেকে ৭ লাখ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করেন। তারা বছরে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা, এ অংক দেশের মোট রফতানি আয়ের অর্ধেকের বেশি।

বিজনেস আওয়ার/২৫ মে, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: