ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতলো চেলসি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১
  • 41

স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতলো চেলসি। এটি ব্লুজদের দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। শনিবার রাতে পর্তুগালের এস্তাদিও দো দ্রাগাওয় স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে কাই হ্যাভার্তজের করা একমাত্র গোলই জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে দেয়।

ম্যাচের শুরুতে চেলসিকে চেপে ধরেছিল সিটিজেনরা। কিন্তু ক্রমেই সেই গেরো খুলতে থাকে অল ব্লুজরা। এমনকি চতুর্দশ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারতো তারা। কিন্তু ফলাফল মেলেনি। পরের মিনিটে ভার্নার আবার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তার বাঁকানো শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও বাইরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চেলসির হাত থেকে খেলার নিয়ন্ত্রণে নেয় সিটি। প্রথমার্ধের বিরতির কিছুক্ষণ আগে চেলসির সেরা ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন । তার বদলি হিসেবে নামেন আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন। আর এরপর খেলার মোড় ঘুরে যায়।

প্রথম গোলের দেখা পেয়ে যায় চেলসি। ৪২তম মিনিটে ম্যাসন মাউন্টের থ্রো বল ধরে গোলমুখের দিকে এগিয়ে যান হাভের্টজ আর তা দেখে এগিয়ে আসেন এদারসন। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে খালি জালে বল পাঠিয়ে দেন জার্মান মিডফিল্ডার।

বিরতির পর বড় ধাক্কা খায় সিটির শিবির। আন্তোনিও রুডিগারের সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন কেভিন ডি ব্রুইনা। বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডকে বাজেভাবে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেন চেলসির জার্মান ডিফেন্ডার। ডি ব্রুইনার বদলে নামেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

এর কিছুক্ষণ পর বার্নান্দো সিলভাকে তুলে নিয়ে ফার্নান্দিনহোকে নামান গার্দিওলা। কিন্তু সিটির খেলায় তার খুব একটা প্রভাব পড়েনি। উল্টো ৭৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতো চেলসি। হাভের্টজের বাড়ানো বলে এদারসনের মাথার উপর দিয়ে চিপ করেছিলেন পুলিসিচ। কিন্তু বল দূরের পোস্ট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়।

কিছুতেই যখন কিছু হচ্ছে না, তখন ইংলিশ স্ট্রাইকার রহিম স্টার্লিংকে তুলে নিয়ে বিদায়ী স্ট্রাইকার আগুয়েরোকে নামান গার্দিওলা। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। তবে যোগ করা সময়ে একবার সমতা ফেরানোর ভালো সুযোগ পেয়েছিল সিটি। কিন্তু বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।

বাকি সময়ে আঁটসাঁট রক্ষণে সিটিকে হতাশ করে চেলসি। এরপর শেষ বাঁশি বাজতেই উৎসবে মেতে ওঠে ব্লুজরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট পরলো চেলসি। এর আগে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতার স্বাদ পায় রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচের মালিকানাধীন ক্লাবটি।

বিজনেস আওয়ার/৩০ মে, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতলো চেলসি

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতলো চেলসি। এটি ব্লুজদের দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। শনিবার রাতে পর্তুগালের এস্তাদিও দো দ্রাগাওয় স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে কাই হ্যাভার্তজের করা একমাত্র গোলই জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে দেয়।

ম্যাচের শুরুতে চেলসিকে চেপে ধরেছিল সিটিজেনরা। কিন্তু ক্রমেই সেই গেরো খুলতে থাকে অল ব্লুজরা। এমনকি চতুর্দশ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারতো তারা। কিন্তু ফলাফল মেলেনি। পরের মিনিটে ভার্নার আবার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তার বাঁকানো শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও বাইরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চেলসির হাত থেকে খেলার নিয়ন্ত্রণে নেয় সিটি। প্রথমার্ধের বিরতির কিছুক্ষণ আগে চেলসির সেরা ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন । তার বদলি হিসেবে নামেন আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন। আর এরপর খেলার মোড় ঘুরে যায়।

প্রথম গোলের দেখা পেয়ে যায় চেলসি। ৪২তম মিনিটে ম্যাসন মাউন্টের থ্রো বল ধরে গোলমুখের দিকে এগিয়ে যান হাভের্টজ আর তা দেখে এগিয়ে আসেন এদারসন। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে খালি জালে বল পাঠিয়ে দেন জার্মান মিডফিল্ডার।

বিরতির পর বড় ধাক্কা খায় সিটির শিবির। আন্তোনিও রুডিগারের সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন কেভিন ডি ব্রুইনা। বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডকে বাজেভাবে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেন চেলসির জার্মান ডিফেন্ডার। ডি ব্রুইনার বদলে নামেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

এর কিছুক্ষণ পর বার্নান্দো সিলভাকে তুলে নিয়ে ফার্নান্দিনহোকে নামান গার্দিওলা। কিন্তু সিটির খেলায় তার খুব একটা প্রভাব পড়েনি। উল্টো ৭৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতো চেলসি। হাভের্টজের বাড়ানো বলে এদারসনের মাথার উপর দিয়ে চিপ করেছিলেন পুলিসিচ। কিন্তু বল দূরের পোস্ট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়।

কিছুতেই যখন কিছু হচ্ছে না, তখন ইংলিশ স্ট্রাইকার রহিম স্টার্লিংকে তুলে নিয়ে বিদায়ী স্ট্রাইকার আগুয়েরোকে নামান গার্দিওলা। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। তবে যোগ করা সময়ে একবার সমতা ফেরানোর ভালো সুযোগ পেয়েছিল সিটি। কিন্তু বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।

বাকি সময়ে আঁটসাঁট রক্ষণে সিটিকে হতাশ করে চেলসি। এরপর শেষ বাঁশি বাজতেই উৎসবে মেতে ওঠে ব্লুজরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট পরলো চেলসি। এর আগে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতার স্বাদ পায় রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচের মালিকানাধীন ক্লাবটি।

বিজনেস আওয়ার/৩০ মে, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: