বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও রেমিট্যান্সের প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। মঙ্গলবার (১ জুন) দিন শেষে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন পৌঁছেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ রিজার্ভ দিয়ে আগামী ১২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। এর আগে চলতি বছরের ৩ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল ৪৪.০২ বিলিয়ন বা চার হাজার ৪০২ কোটি ডলার।
সদ্য-সমাপ্ত মে মাসে দুই হাজার ১৭১ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা গত বছরের (২০২০) একই সময়ের তুলনায় ৬৬৬ মিলিয়ন ডলার বেশি। গত বছরের মে মাসে এক হাজা ৫০৫ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা মহামারির মধ্যে সদ্য সমাপ্ত মে মাসে প্রবাসীরা ২১৭ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ৪৪ শতাংশ বেশি। গত বছর মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) দেশে দুই হাজার ২৮৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ৯৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে। চলতি অর্থ বছরের এখনো এক মাস (জুন) বাকি আছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এছাড়া ঈদ-উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিয়েছে। এতে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন।
বিজনেস আওয়ার/০১ জুন, ২০২১/এ