ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের সাথে ভাওতাবাজি : ফখরুল

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১
  • 85

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষের জীবন-জীবিকার কথা মাথায় না রেখে কেবল অর্থনীতির নানা তত্ত্ব ও বিশাল সংখ্যার আর্থিক উপস্থাপনার মাধ্যমে কার্যত জনগণের সাথে এক ধরনের ভাওতাবাজি করা হয়েছে প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে।

শুক্রবার (৪ জুন) সকালে দলের পক্ষ থেকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন,‌ করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন গত ১৮ মাস ধরে অচল। এর মধ্যে অপরিকল্পিত লকডাউনের নামে শাটডাউনে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষদের জীবন চূড়ান্তভাবে থমকে গেছে। এর মাঝে ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিপাদ্য শব্দমালার মাঝেই এবারের বাজেটের ভাওতাবাজি পরিষ্কার।

তিনি বলেন, চলমান স্বাস্থ্য পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এটা একটি অবাস্তবায়নযোগ্য কাল্পনিক ও কাগুজে বাজেট ছাড়া আর কিছুই নয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবারের বাজেট হওয়া উচিত ছিল ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিমালার পথনির্দেশনা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বাজেট। ভবিষ্যতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের মডেল কী হতে পারে, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বাজেটের ফোকাস কী হবে, তার পথনির্দেশনার বাজেট। কিন্তু সরকার সেদিকে যায়নি।

বাজেটে পুরাতন ত্রুটিপূর্ণ ব্যাংকনির্ভর ঋণের কথাই বলা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাজেট নাকি দেয়া হয়েছে ‘মানুষের জন্য’। শুনতে ভালো শোনায়। কিন্তু বাজেটে দিন আনে দিন খায় এমন গোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা রক্ষায় নগদ অর্থের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নেই।

তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৩ কোটি টাকা। ঘাটতি ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়িত্ব ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের। পরে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা করা হয়। তবে সংস্থাটি ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সংগ্রহ করেছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকেও সংগ্রহ ১ লাখ ৩ হাজার ৪১৭ কোটি কম। আসছে বাজেটে রাজস্বের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৮.২ শতাংশ। যা কল্পনাপ্রসূত বা অবাস্তব। আয়ের উৎসের এই দুর্বলতা নিয়েই গতানুগতিকভাবে বড় করা হয়েছে বাজেট।

বিজনেস আওয়ার/০৪ জুন, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের সাথে ভাওতাবাজি : ফখরুল

পোস্ট হয়েছে : ০২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষের জীবন-জীবিকার কথা মাথায় না রেখে কেবল অর্থনীতির নানা তত্ত্ব ও বিশাল সংখ্যার আর্থিক উপস্থাপনার মাধ্যমে কার্যত জনগণের সাথে এক ধরনের ভাওতাবাজি করা হয়েছে প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে।

শুক্রবার (৪ জুন) সকালে দলের পক্ষ থেকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন,‌ করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন গত ১৮ মাস ধরে অচল। এর মধ্যে অপরিকল্পিত লকডাউনের নামে শাটডাউনে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষদের জীবন চূড়ান্তভাবে থমকে গেছে। এর মাঝে ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিপাদ্য শব্দমালার মাঝেই এবারের বাজেটের ভাওতাবাজি পরিষ্কার।

তিনি বলেন, চলমান স্বাস্থ্য পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এটা একটি অবাস্তবায়নযোগ্য কাল্পনিক ও কাগুজে বাজেট ছাড়া আর কিছুই নয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবারের বাজেট হওয়া উচিত ছিল ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিমালার পথনির্দেশনা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বাজেট। ভবিষ্যতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের মডেল কী হতে পারে, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বাজেটের ফোকাস কী হবে, তার পথনির্দেশনার বাজেট। কিন্তু সরকার সেদিকে যায়নি।

বাজেটে পুরাতন ত্রুটিপূর্ণ ব্যাংকনির্ভর ঋণের কথাই বলা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাজেট নাকি দেয়া হয়েছে ‘মানুষের জন্য’। শুনতে ভালো শোনায়। কিন্তু বাজেটে দিন আনে দিন খায় এমন গোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা রক্ষায় নগদ অর্থের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নেই।

তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৩ কোটি টাকা। ঘাটতি ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়িত্ব ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের। পরে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা করা হয়। তবে সংস্থাটি ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সংগ্রহ করেছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকেও সংগ্রহ ১ লাখ ৩ হাজার ৪১৭ কোটি কম। আসছে বাজেটে রাজস্বের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৮.২ শতাংশ। যা কল্পনাপ্রসূত বা অবাস্তব। আয়ের উৎসের এই দুর্বলতা নিয়েই গতানুগতিকভাবে বড় করা হয়েছে বাজেট।

বিজনেস আওয়ার/০৪ জুন, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: