আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। আগামী ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ট্রাম্পকে ফেসবুক থেকে দূরেই থাকতে হবে। শুক্রবার (৪ জুন) ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলা ও সহিংসতা চালাতে সমর্থকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে নিষিদ্ধ হন ট্রাম্প। ট্রাম্প সমর্থকদের সেদিনের সেই ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন নিহত হয়েছিলেন।
দেসিনের হামলার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ভিত কেঁপে উঠেছিল। ওই ঘটনার পর ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার হওয়া ওই অ্যাকাউন্টটিতে ট্রাম্পের প্রায় নয় কোটি অনুসরণকারী ছিলেন। অপরদিকে নিজেদের প্লাটফর্মে ট্রাম্পকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করে ফেসবুক।
তবে গতকাল শুক্রবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামী দুই বছরের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে যদি ‘জনগণের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি কমে’ তাহলে তাকে ফের এই প্লাটফর্মে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।
ফেসবুকের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, বড় ধরনের সহিংসতা বা সংকটকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের আচরণের বিষয়টি ফেসবুকের নতুন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নীতিমালার নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিভিন্ন মেয়াদে ফেসবুকে নিষিদ্ধ করা হবে। প্রথমে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হবে।
ট্রাম্পকে নিষিদ্ধের এই বিষয়টিও সদ্য সমাপ্ত মে মাসে ফেসবুক ওভারসাইট বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফেসবুত ব্যবহার করে যেসব বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব ভবিষ্যতে সহিংসতায় উস্কানি দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সংকটের সৃষ্টি করলে কীভাবে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে, এই ঘোষণায় তার ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেন, যে কোনো শাস্তি আমরা দিই বা না দিই-সেটাই বিতর্কিত হয়ে উঠবে। অনেকে বিশ্বাস করেন, ট্রাম্পের মতো একজন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এভাবে ফেসবুকে নিষিদ্ধ করা ঠিক হয়নি। আবার অনেকে বিশ্বাস করেন, ট্রাম্পকে এখনই সারা জীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিরোধীদের থেকে আজকের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হবে, সেটও আমরা জানি। কিন্তু আমাদের কাজ, যতটা সম্ভব স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।
বিজনেস আওয়ার/০৫ জুন, ২০২১/এ