ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যতা আনতে হবে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
  • 12

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যে অন্যতম মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো: আশিকুর রহমান। সম্প্রতি শেয়ারবাজারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিজনেস আওয়ার২৪.কমের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। সেই মতবিনিময়ের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো বিজনেস আওয়ার পাঠকদের জন্য। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আনিসুর রহমান সুমন।

বিজনেস আওয়ার : বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলুন?

মো:আশিকুর রহমান : শেয়ারবাজার এখন খুব ভালো অবস্থানে আছে। গত কয়েক বছরের লেনদেনের নেতিবাচক ধারা থেকে বের হয়ে ইতিবাচকতার দিকে যাচ্ছে বাজার। বিগত এক মাস ধরে বাজারে ধারাবাহিকভাবে লেনদেন ২ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাজারবান্ধব নীতিমালা, ব্যাংকের নিম্ন সুদের হার ও বাজার মনিটরিং পলিসির কারণে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা এসেছে। সুচকের চেয়ে শেয়ারবাজারে লেনদেন বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারন লেনদেন বাড়লে বাজারের প্রতি সর্বস্তরের বিনিয়োগকারীরা আস্থা পান। এখন অলস অর্থ ব্য্যংকে জমা রাখা বা এফডিআর করার চেয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ লাভজনক বলে বিবেচিত হচ্ছে সর্বস্তরের বিনিয়োগকারীদের কাছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় গত বছরে এই সময়ে যারা ব্যাংকগুলোর শেয়ার কিনে রেখেছিলেন তারা ইতোমধ্যে ব্যাংকভেদে বিনিয়োগের বিপরীতে ১৫-২০ শতাংশ লাভ তুলতে পেরেছেন। অপরদিকে যারা বাজারে বিনিয়োগ না করে ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছিলেন বা এফডিআর করেছিলেন, তাদের রিটার্ন মূল্যস্ফিতি বিবেচনায় নিলে খুবই কম। বর্ধিত লেনদেনের ধারাবাহিকতার কারণে বাজারের বর্তমান স্থিতিশীলতা এবং অলস অর্থ জমা রাখার অন্যান্য উৎসগুলোর তুলনায় এখনকার বাজার দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ উপযোগী।

বিজনেস আওয়ার : সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন ৩০ ট্রেকহোল্ডার যুক্ত হচ্ছে এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য?

মো:আশিকুর রহমান : সম্প্রতি যে নতুন ৩০ ট্রেকহোল্ডারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেটা শেয়ারবাজারের জন্য অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। নতুন ট্রেকহোল্ডারদের মাধ্যমে বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী আসলে টাকার প্রবাহ বাড়বে। এই ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়ার ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিদ্যমান সদস্যরা বাজারে টিকে থাকার জন্য গ্রাহক সেবার মান বাড়াবে। নতুন বিনিয়োগকারীর আগমন বাজারে লেনদেন বাড়াতে এবং ট্রেকহোল্ডারদের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বাজারে টিকে থাকার জন্য ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা তৈরি করবে, তা বাজারের জন্য ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে।

বিজনেস আওয়ার : মিডওয়ে সিকিউরিটিজ কেন অন্যদের থেকে আলাদা?

মো:আশিকুর রহমান : বিজনেস আওয়ার ২৪.কমের মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ভাইবোনদের জানাতে চাই মিডওয়ে সিকিউরিটিজ পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর সেবা দিয়ে আসছে। একজন গ্রাহক শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট যেকোন সেবা যেমন বিও একাউন্ট খোলা, শেয়ার কেনার জন্য টাকা জমা দেয়া বা শেয়ার বিক্রির পর টাকা তোলা সবকিছুই এখন আমাদের শাখাগুলোতে না এসেও আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ঘরে বসেই নিতে পারছেন। আমাদের একটি হটলাইন নাম্বার রয়েছে, যেখানে ১৫ জন এজেন্ট সার্বক্ষনিক গ্রাহক সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। পাশাপাশি আমাদের রয়েছে ব্লগ। ব্লগের মাধ্যমে শেয়ারবাজার বিষয়ক আমাদের অর্জিত জ্ঞান আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করি। এই ব্লগের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বাজার সম্পর্কে প্রতিনিয়ত বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

বিজনেস আওয়ার : সম্প্রতি ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের ৫০টির বেশি কোম্পানিকে লেনদনের মূল ধারায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত?

মো:আশিকুর রহমান: ওটিসি মার্কেটের কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেটে নিয়ে আসার পরিকল্পনা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি। এটা বাস্তবায়িত হলে এই মার্কেটে আটকে থাকা বিনিয়োগকারীরা স্বস্তি পাবেন।

বিজনেস আওয়ার : বাজার উন্নয়নে আপনার পরামর্শ।

মো: আশিকুর রহমান: আমাদের শেয়ারবাজার ৯৯ শতাংশ ইক্যুইটি নির্ভর। এ বাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুবই ছোট। তারল্য প্রবাহ ও লেনদেন বাড়াতে এই বাজারে বন্ড, ইটিএফ, ডেরিভেটিভস প্রোডাক্টগুলোকে নিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি। বিনিয়োগকারীরা ইক্যুইটির বিপরীতে বিনিয়েোগের বিস্তৃত ক্ষেত্র পেলে, বাজারের পরিধি বাড়বে। সম্প্রতি আমরা ইটিএফ নিয়ে কাজ করছি। খুব শীঘ্রই ইটিএফ বাজারে আসবে বলে আশা করছি। এ ব্যাপারে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ভূমিকাও ইতিবাচক।

বিজনেস আওয়ার : ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন?

মো: আশিকুর রহমান: ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফা করতে হলে বাজার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই। পাশাপাশি মার্জিন লোন পরিহার করে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের পরিকল্পনা থাকলে বাজার থেকে একজন বিনিয়োগকরী উল্লেখযোগ্য পরিমান মুনাফা পাবেন বলে আমি মনে করি।

বিজনেস আওয়ার : আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

মো: আশিকুর রহমান: বিজনেস আওয়ার ২৪.কম এর জন্য রইলো শুভকামনা।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যতা আনতে হবে

পোস্ট হয়েছে : ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যে অন্যতম মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো: আশিকুর রহমান। সম্প্রতি শেয়ারবাজারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিজনেস আওয়ার২৪.কমের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। সেই মতবিনিময়ের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো বিজনেস আওয়ার পাঠকদের জন্য। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আনিসুর রহমান সুমন।

বিজনেস আওয়ার : বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলুন?

মো:আশিকুর রহমান : শেয়ারবাজার এখন খুব ভালো অবস্থানে আছে। গত কয়েক বছরের লেনদেনের নেতিবাচক ধারা থেকে বের হয়ে ইতিবাচকতার দিকে যাচ্ছে বাজার। বিগত এক মাস ধরে বাজারে ধারাবাহিকভাবে লেনদেন ২ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাজারবান্ধব নীতিমালা, ব্যাংকের নিম্ন সুদের হার ও বাজার মনিটরিং পলিসির কারণে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা এসেছে। সুচকের চেয়ে শেয়ারবাজারে লেনদেন বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারন লেনদেন বাড়লে বাজারের প্রতি সর্বস্তরের বিনিয়োগকারীরা আস্থা পান। এখন অলস অর্থ ব্য্যংকে জমা রাখা বা এফডিআর করার চেয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ লাভজনক বলে বিবেচিত হচ্ছে সর্বস্তরের বিনিয়োগকারীদের কাছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় গত বছরে এই সময়ে যারা ব্যাংকগুলোর শেয়ার কিনে রেখেছিলেন তারা ইতোমধ্যে ব্যাংকভেদে বিনিয়োগের বিপরীতে ১৫-২০ শতাংশ লাভ তুলতে পেরেছেন। অপরদিকে যারা বাজারে বিনিয়োগ না করে ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছিলেন বা এফডিআর করেছিলেন, তাদের রিটার্ন মূল্যস্ফিতি বিবেচনায় নিলে খুবই কম। বর্ধিত লেনদেনের ধারাবাহিকতার কারণে বাজারের বর্তমান স্থিতিশীলতা এবং অলস অর্থ জমা রাখার অন্যান্য উৎসগুলোর তুলনায় এখনকার বাজার দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ উপযোগী।

বিজনেস আওয়ার : সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন ৩০ ট্রেকহোল্ডার যুক্ত হচ্ছে এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য?

মো:আশিকুর রহমান : সম্প্রতি যে নতুন ৩০ ট্রেকহোল্ডারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেটা শেয়ারবাজারের জন্য অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। নতুন ট্রেকহোল্ডারদের মাধ্যমে বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী আসলে টাকার প্রবাহ বাড়বে। এই ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়ার ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিদ্যমান সদস্যরা বাজারে টিকে থাকার জন্য গ্রাহক সেবার মান বাড়াবে। নতুন বিনিয়োগকারীর আগমন বাজারে লেনদেন বাড়াতে এবং ট্রেকহোল্ডারদের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বাজারে টিকে থাকার জন্য ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা তৈরি করবে, তা বাজারের জন্য ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে।

বিজনেস আওয়ার : মিডওয়ে সিকিউরিটিজ কেন অন্যদের থেকে আলাদা?

মো:আশিকুর রহমান : বিজনেস আওয়ার ২৪.কমের মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ভাইবোনদের জানাতে চাই মিডওয়ে সিকিউরিটিজ পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর সেবা দিয়ে আসছে। একজন গ্রাহক শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট যেকোন সেবা যেমন বিও একাউন্ট খোলা, শেয়ার কেনার জন্য টাকা জমা দেয়া বা শেয়ার বিক্রির পর টাকা তোলা সবকিছুই এখন আমাদের শাখাগুলোতে না এসেও আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ঘরে বসেই নিতে পারছেন। আমাদের একটি হটলাইন নাম্বার রয়েছে, যেখানে ১৫ জন এজেন্ট সার্বক্ষনিক গ্রাহক সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। পাশাপাশি আমাদের রয়েছে ব্লগ। ব্লগের মাধ্যমে শেয়ারবাজার বিষয়ক আমাদের অর্জিত জ্ঞান আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করি। এই ব্লগের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বাজার সম্পর্কে প্রতিনিয়ত বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

বিজনেস আওয়ার : সম্প্রতি ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের ৫০টির বেশি কোম্পানিকে লেনদনের মূল ধারায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত?

মো:আশিকুর রহমান: ওটিসি মার্কেটের কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেটে নিয়ে আসার পরিকল্পনা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি। এটা বাস্তবায়িত হলে এই মার্কেটে আটকে থাকা বিনিয়োগকারীরা স্বস্তি পাবেন।

বিজনেস আওয়ার : বাজার উন্নয়নে আপনার পরামর্শ।

মো: আশিকুর রহমান: আমাদের শেয়ারবাজার ৯৯ শতাংশ ইক্যুইটি নির্ভর। এ বাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুবই ছোট। তারল্য প্রবাহ ও লেনদেন বাড়াতে এই বাজারে বন্ড, ইটিএফ, ডেরিভেটিভস প্রোডাক্টগুলোকে নিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি। বিনিয়োগকারীরা ইক্যুইটির বিপরীতে বিনিয়েোগের বিস্তৃত ক্ষেত্র পেলে, বাজারের পরিধি বাড়বে। সম্প্রতি আমরা ইটিএফ নিয়ে কাজ করছি। খুব শীঘ্রই ইটিএফ বাজারে আসবে বলে আশা করছি। এ ব্যাপারে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ভূমিকাও ইতিবাচক।

বিজনেস আওয়ার : ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন?

মো: আশিকুর রহমান: ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফা করতে হলে বাজার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই। পাশাপাশি মার্জিন লোন পরিহার করে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের পরিকল্পনা থাকলে বাজার থেকে একজন বিনিয়োগকরী উল্লেখযোগ্য পরিমান মুনাফা পাবেন বলে আমি মনে করি।

বিজনেস আওয়ার : আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

মো: আশিকুর রহমান: বিজনেস আওয়ার ২৪.কম এর জন্য রইলো শুভকামনা।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: