ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরীমনিকে বোট ক্লাবে নিয়ে যায় অমি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
  • 27

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি এখন টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় আটক হয়েছেন ৫ জন। কিতু ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনি গেলেন কীভাবে— এই প্রশ্নটা সবার মুখে মুখে। সে প্রশ্নেরও যথাযথ উত্তর দিয়েছেন পরীমনি। তার উত্তরে জানা গেছে সেই রাতের নানা অজানা কথা, খোলসা হয়েছে নানা প্রশ্ন!

পরীমনির সঙ্গে অমির পরিচয় দুই বছরের। এর মধ্যেই দুজনের মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এই নায়িকার নানার সুস্থতার খবর জানতে পেরে গত ৮ জুন পরীর বনানীর বাসায় আসেন অমি। তবে সেদিন কোনো এক বিষয় নিয়ে পরীর সঙ্গে বসতে চাইলেও সময় দিতে পারেননি নায়িকা।

পরীমনি বলেন, এর পরদিন জিমিকে ফোন করে ফের সময় চায় অমি। তখন আমি তাকে রাত ৯টায় আসতে বলি। কিন্তু অমি রাত আসে পৌঁনে ১১টার দিকে। অমি সিনেমায় টাকা বিনিয়োগ করবেন আর পরীমনি বিনিয়োগের একটা পার্ট হবেন- এমন প্রস্তাব দেয়া হয়। এমন একটা বিষয় ছিল, আলোচনা শেষ না করে উঠতে পারছিলেন না।

আলোচনার মধ্যেই অমির একটা ফোন আসে। অমি জানায়, তার মা অসুস্থ। ওষুধ কিনে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু পরীমনি তাকে মানবিকভাবেই বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলেন। এসময় নায়িকার ছোটবোন বনি, আমি ও জিমি যে যে অবস্থায় ছিলেন, সেভাবেই বেরিয়ে পড়েন। এরপর উত্তরার একটি ফার্মেসিতে নেমে ওষুধ কিনে, অমির বাসার দিকে রওনা হন তারা।

পথের মধ্যে অমি হঠাৎ গাড়ি থামাতে বলেন। তিনি বলেন, দুই মিনিট কাজ আছে। আমি সেরে আসছি। কিন্তু গেট বন্ধ থাকায় যেতে পারেনি। তখন তার ফোনে কল আসার পর গেট খুলে দেয়া হয়। এরপর তিনি আবার ভেতরে যান। যাওয়ার সময় অমি জানায় তোমরাও নামতে পারো। ক্লাবটা অনেক সুন্দর।

পরীমনি জানান, বোন বনির ওয়াশরুমের প্রয়োজন ছিল। এজন্য জিমিকে গাড়িতে রেখে বনিকে নিয়ে ক্লাবের ভেতরে যান তিনি। এরপর দুজন লোক এসে বলেন, ম্যাডাম বসেন। অমিও বলে, কফি খান। কফি এনে দিলে জিমি এসে তা টেস্ট করে বলেন যে এটা কফিনা অন্য কিছু। পরে খেতে না চাইলে নাসির উদ্দিন মাহমুদ জোর করে মুখে বোতল ঢুকিয়ে দিয়ে মদ খাওয়ান।

এরপর নাসির পরীমনির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন। একপর্যায়ে ক্লাবের উপরে নিয়ে গিয়ে সেখানে ধর্ষণ ও হত্যার জন্য চেষ্টা করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর সেন্সলেস অবস্থায় তাকে নিচে নামানো হয়। ঘটনার পর থানায় যোগাযোগ করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। নিশ্চয় অমির সঙ্গে নাসিরের যোগাযোগ ছিল। ঘটনা যে পূর্ব পরিকল্পিত ছিল তা কিন্তু স্পষ্ট।

বিজনেস আওয়ার/১৪ জুন, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পরীমনিকে বোট ক্লাবে নিয়ে যায় অমি

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি এখন টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় আটক হয়েছেন ৫ জন। কিতু ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনি গেলেন কীভাবে— এই প্রশ্নটা সবার মুখে মুখে। সে প্রশ্নেরও যথাযথ উত্তর দিয়েছেন পরীমনি। তার উত্তরে জানা গেছে সেই রাতের নানা অজানা কথা, খোলসা হয়েছে নানা প্রশ্ন!

পরীমনির সঙ্গে অমির পরিচয় দুই বছরের। এর মধ্যেই দুজনের মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এই নায়িকার নানার সুস্থতার খবর জানতে পেরে গত ৮ জুন পরীর বনানীর বাসায় আসেন অমি। তবে সেদিন কোনো এক বিষয় নিয়ে পরীর সঙ্গে বসতে চাইলেও সময় দিতে পারেননি নায়িকা।

পরীমনি বলেন, এর পরদিন জিমিকে ফোন করে ফের সময় চায় অমি। তখন আমি তাকে রাত ৯টায় আসতে বলি। কিন্তু অমি রাত আসে পৌঁনে ১১টার দিকে। অমি সিনেমায় টাকা বিনিয়োগ করবেন আর পরীমনি বিনিয়োগের একটা পার্ট হবেন- এমন প্রস্তাব দেয়া হয়। এমন একটা বিষয় ছিল, আলোচনা শেষ না করে উঠতে পারছিলেন না।

আলোচনার মধ্যেই অমির একটা ফোন আসে। অমি জানায়, তার মা অসুস্থ। ওষুধ কিনে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু পরীমনি তাকে মানবিকভাবেই বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলেন। এসময় নায়িকার ছোটবোন বনি, আমি ও জিমি যে যে অবস্থায় ছিলেন, সেভাবেই বেরিয়ে পড়েন। এরপর উত্তরার একটি ফার্মেসিতে নেমে ওষুধ কিনে, অমির বাসার দিকে রওনা হন তারা।

পথের মধ্যে অমি হঠাৎ গাড়ি থামাতে বলেন। তিনি বলেন, দুই মিনিট কাজ আছে। আমি সেরে আসছি। কিন্তু গেট বন্ধ থাকায় যেতে পারেনি। তখন তার ফোনে কল আসার পর গেট খুলে দেয়া হয়। এরপর তিনি আবার ভেতরে যান। যাওয়ার সময় অমি জানায় তোমরাও নামতে পারো। ক্লাবটা অনেক সুন্দর।

পরীমনি জানান, বোন বনির ওয়াশরুমের প্রয়োজন ছিল। এজন্য জিমিকে গাড়িতে রেখে বনিকে নিয়ে ক্লাবের ভেতরে যান তিনি। এরপর দুজন লোক এসে বলেন, ম্যাডাম বসেন। অমিও বলে, কফি খান। কফি এনে দিলে জিমি এসে তা টেস্ট করে বলেন যে এটা কফিনা অন্য কিছু। পরে খেতে না চাইলে নাসির উদ্দিন মাহমুদ জোর করে মুখে বোতল ঢুকিয়ে দিয়ে মদ খাওয়ান।

এরপর নাসির পরীমনির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন। একপর্যায়ে ক্লাবের উপরে নিয়ে গিয়ে সেখানে ধর্ষণ ও হত্যার জন্য চেষ্টা করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর সেন্সলেস অবস্থায় তাকে নিচে নামানো হয়। ঘটনার পর থানায় যোগাযোগ করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। নিশ্চয় অমির সঙ্গে নাসিরের যোগাযোগ ছিল। ঘটনা যে পূর্ব পরিকল্পিত ছিল তা কিন্তু স্পষ্ট।

বিজনেস আওয়ার/১৪ জুন, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: