ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুড়ি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
  • 44

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর মুড়ির দাম কমার কথা। কিন্তু রাজধানীর বাজারে উল্টো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুড়ি। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। আর প্যাকেট জাত মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকা কেজিতে।

অথচ গত বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মুড়ির স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করেছি। ফলে মুড়ির দাম কমার কথা, কিন্তু কমার পরিবর্তে দাম বাড়ছে।

সোমবার (১৪ জুন) রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা এবং মালিবাগ এলাকায় দেখা গেছে, খোলা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। ভালো মানের প্যাকেট জাত মুড়ি আধা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। আর ২৫০ গ্রামের প্যাকেটজাত মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে। সেই হিসেবে এক কেজি প্যাকেট জাত মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোটা চালের গুটি মুড়ি অর্থাৎ ওজনে বেশি এরকম মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে। আর চিকন চালের লম্বা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। এগুলো ওজনে কম ফলে দাম বেশি হয়।

এছাড়া প্যাকেটজাত ২৫০ গ্রামের ‘রুচি’ মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায় (গায়ের মূল্য ৩২ টাকা)। ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া আধা কেজি প্যাকেটের মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে আধা কেজিতে ২০ টাকা আর এক কেজিতে ৪০ টাকা দাম বেড়েছে মুড়ির।

তবে বসুন্ধরার প্যাকেটজাত মুড়ি আধা কেজি ৬০ টাকা আর ২৫০ গ্রাম প্যাকেটে মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে দাম দাঁড়াচ্ছে ১২০ টাকা। তবে পণ্যের গায়ের মূল্য ১২৮ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালসহ মুড়ি তৈরি সরঞ্জামের দাম বাড়তি। তাই মুড়ির দামও বাড়তি। মুড়ি কম দামে খেতে হলে চালের দাম কমাতে হবে।

রামপুরা বাজারের মুড়ি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, কর সুবিধা তো পেয়েছে বড় ব্যবসায়ীরা। যারা মুড়ি প্যাকেট করে বিক্রি করেন। আমারা যারা চাল থেকে মুড়ি বানাই তারা তো কোনো সুবিধা পাইনি। উল্টো চালের দাম বাড়ছে। চালের কেজি ৬০-৬৫ টাকা। এক কেজি চালে কত কেজি মুড়ি হয় বলুন তো। আমরা কীভাবে ব্যবসা করব বলেন।

মুড়ি ক্রেতা আরমান মিয়া বলেন, শুনেছি মুড়ির দাম কমবে। এখন দেখছি রোজার আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুড়ি। ঈদের আগেও এক কেজি মুড়ি নিয়েছি ৮০ টাকায় আজও কিনলাম ৮০ টাকায়। তাহলে কমল কই। একবার কোনো জিনিসের দাম বাড়লে আর কমতে চায় না। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারের কাছ থেকে নানা সুযোগ সুবিধা নেয়।

বিজনেস আওয়ার/১৪ জুন, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুড়ি

পোস্ট হয়েছে : ০৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর মুড়ির দাম কমার কথা। কিন্তু রাজধানীর বাজারে উল্টো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুড়ি। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। আর প্যাকেট জাত মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকা কেজিতে।

অথচ গত বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মুড়ির স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করেছি। ফলে মুড়ির দাম কমার কথা, কিন্তু কমার পরিবর্তে দাম বাড়ছে।

সোমবার (১৪ জুন) রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা এবং মালিবাগ এলাকায় দেখা গেছে, খোলা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। ভালো মানের প্যাকেট জাত মুড়ি আধা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। আর ২৫০ গ্রামের প্যাকেটজাত মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে। সেই হিসেবে এক কেজি প্যাকেট জাত মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোটা চালের গুটি মুড়ি অর্থাৎ ওজনে বেশি এরকম মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে। আর চিকন চালের লম্বা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। এগুলো ওজনে কম ফলে দাম বেশি হয়।

এছাড়া প্যাকেটজাত ২৫০ গ্রামের ‘রুচি’ মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায় (গায়ের মূল্য ৩২ টাকা)। ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া আধা কেজি প্যাকেটের মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে আধা কেজিতে ২০ টাকা আর এক কেজিতে ৪০ টাকা দাম বেড়েছে মুড়ির।

তবে বসুন্ধরার প্যাকেটজাত মুড়ি আধা কেজি ৬০ টাকা আর ২৫০ গ্রাম প্যাকেটে মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে দাম দাঁড়াচ্ছে ১২০ টাকা। তবে পণ্যের গায়ের মূল্য ১২৮ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালসহ মুড়ি তৈরি সরঞ্জামের দাম বাড়তি। তাই মুড়ির দামও বাড়তি। মুড়ি কম দামে খেতে হলে চালের দাম কমাতে হবে।

রামপুরা বাজারের মুড়ি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, কর সুবিধা তো পেয়েছে বড় ব্যবসায়ীরা। যারা মুড়ি প্যাকেট করে বিক্রি করেন। আমারা যারা চাল থেকে মুড়ি বানাই তারা তো কোনো সুবিধা পাইনি। উল্টো চালের দাম বাড়ছে। চালের কেজি ৬০-৬৫ টাকা। এক কেজি চালে কত কেজি মুড়ি হয় বলুন তো। আমরা কীভাবে ব্যবসা করব বলেন।

মুড়ি ক্রেতা আরমান মিয়া বলেন, শুনেছি মুড়ির দাম কমবে। এখন দেখছি রোজার আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুড়ি। ঈদের আগেও এক কেজি মুড়ি নিয়েছি ৮০ টাকায় আজও কিনলাম ৮০ টাকায়। তাহলে কমল কই। একবার কোনো জিনিসের দাম বাড়লে আর কমতে চায় না। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারের কাছ থেকে নানা সুযোগ সুবিধা নেয়।

বিজনেস আওয়ার/১৪ জুন, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: