ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ ব্যাংক

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
  • 48

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিশ্বে মহামারী ক‌রোনার মধ্যেও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় (রিজার্ভ) রেকর্ড গড়‌ছে। এখন দে‌শে রিজার্ভ প্রায় ৪৫ দশ‌মিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব‌শেষ গত ১৭ জুন দে‌শের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশ‌মিক ৪৬ বি‌লিয়ন বা প্রায় চার হাজার ৫৪৬ কোটি ডলার। বাংলা‌দে‌শি মুদ্রায় যার প‌রিমাণ তিন লাখ ৮৬ হাজার কো‌টি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।

‌কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বল‌ছে, চল‌তি বছ‌রের ৩ মে দে‌শের রিজার্ভ প্রথমবা‌রের মতো ৪৫ বি‌লিয়ন ডলার অতিক্রম ক‌রে। ওইদিন রিজার্ভ বে‌ড়ে দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়া‌রি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৪.০২ বিলিয়ন বা চার হাজার ৪০২ কোটি ডলার ছাড়ি‌য়ে‌ছিল। তারও আগে ৩০ ডি‌সেম্বর রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ১৫ ডি‌সেম্বর ৪২ মি‌লিয়ন ডলার এবং ২৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।

বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ২০২০ সালের অক্টোবরে। এরপর ধারাবাহিক বেড়ে গত ডিসেম্বরে ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। রিজার্ভের একের পর এক মাইলফলক অতিক্রম করা পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। মাঝে মধ্যে হোঁচটও খেতে হয়েছে। আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এই রিজার্ভ অনেক সময় রাজনীতিতেও ইস্যু হয়েছে। রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় গভর্নরের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে আতিউর রহমানকে।

এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর ব‌লেন, এক দিনেই রিজার্ভ এ অবস্থান আসেনি। বর্তমানে ৪৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এটা খুবই ভালো। আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশি ও আমদানি ব্যয় কম হওয়ায় রিজার্ভ বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে বলতে আশাব্যাঞ্জন দিক। এ রিজার্ভ দিয়ে ১১ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা যাবে। যা স্থিতিশীল অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) দেশে ২ হাজার ২৮৩ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ৯৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে। আর গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৬৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে ১১ মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

বিজনেস আওয়ার/১৯ জুন, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রিজার্ভে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ ব্যাংক

পোস্ট হয়েছে : ০৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিশ্বে মহামারী ক‌রোনার মধ্যেও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় (রিজার্ভ) রেকর্ড গড়‌ছে। এখন দে‌শে রিজার্ভ প্রায় ৪৫ দশ‌মিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব‌শেষ গত ১৭ জুন দে‌শের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশ‌মিক ৪৬ বি‌লিয়ন বা প্রায় চার হাজার ৫৪৬ কোটি ডলার। বাংলা‌দে‌শি মুদ্রায় যার প‌রিমাণ তিন লাখ ৮৬ হাজার কো‌টি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।

‌কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বল‌ছে, চল‌তি বছ‌রের ৩ মে দে‌শের রিজার্ভ প্রথমবা‌রের মতো ৪৫ বি‌লিয়ন ডলার অতিক্রম ক‌রে। ওইদিন রিজার্ভ বে‌ড়ে দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়া‌রি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৪.০২ বিলিয়ন বা চার হাজার ৪০২ কোটি ডলার ছাড়ি‌য়ে‌ছিল। তারও আগে ৩০ ডি‌সেম্বর রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ১৫ ডি‌সেম্বর ৪২ মি‌লিয়ন ডলার এবং ২৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।

বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ২০২০ সালের অক্টোবরে। এরপর ধারাবাহিক বেড়ে গত ডিসেম্বরে ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। রিজার্ভের একের পর এক মাইলফলক অতিক্রম করা পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। মাঝে মধ্যে হোঁচটও খেতে হয়েছে। আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এই রিজার্ভ অনেক সময় রাজনীতিতেও ইস্যু হয়েছে। রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় গভর্নরের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে আতিউর রহমানকে।

এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর ব‌লেন, এক দিনেই রিজার্ভ এ অবস্থান আসেনি। বর্তমানে ৪৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এটা খুবই ভালো। আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশি ও আমদানি ব্যয় কম হওয়ায় রিজার্ভ বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে বলতে আশাব্যাঞ্জন দিক। এ রিজার্ভ দিয়ে ১১ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা যাবে। যা স্থিতিশীল অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) দেশে ২ হাজার ২৮৩ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ৯৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে। আর গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৬৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে ১১ মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

বিজনেস আওয়ার/১৯ জুন, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: