বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দ্বিতীয় দফায় সিকিউরিটিজ বেচা-কেনার জন্য আরও ১৬ ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেটস (ট্রেক) অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সোমবার (২১ জুন) এ সংক্রান্ত চিঠি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) দিয়েছে কমিশন।
অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলো হল- এমকেএম সিকিউরিটিজ, স্মার্ট শেয়ার, বিনিময় সিকিউরিটিজ, রিলিফ এক্সচেঞ্জ, আমার সিকিউরিটিজ, ব্যাং জি জিও টেক্সটাইল, মিনহার সিকিউরিটিজ, বিপ্লব হোল্ডিংস, এসোসিয়েটেড ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, বি রিচ, কলম্বিয়া শেয়ার, রহিমা ইক্যুইটি, এম্পেরর সিকিউরিটিজ, বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেডিং, ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ ও এনওয়াই ট্রেডিং।
এর আগে প্রথম দফায় গত ১৯ মে ৩০ ট্রেক অনুমোদন দেয় বিএসইসি।
বিএসইসির ট্রেক রুলস অনুযায়ি, প্রতিটি ট্রেকের জন্য নিবন্ধন ফি ১ কোটি টাকা। এছাড়া এই ট্রেক পাওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা ফিসহ এক্সচেঞ্জে আবেদন করতে হয়।
এছাড়া ট্রেক নেওয়ার জন্য কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে এবং স্টক এক্সচেঞ্জে ৩ কোটি টাকা জামানত দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে বিদেশীদের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রেক নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি টাকা এবং শুধুমাত্র বিদেশীদের ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। আর জামানতের ক্ষেত্রে বিদেশীদের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রেক নেওয়ার জন্য ৪ কোটি টাকা এবং শুধুমাত্র বিদেশীদের জন্য ৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। আর ট্রেকের বার্ষিক ফি হিসেবে ১ লাখ টাকার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কমিশনের অনুমোদিত কোন প্রতিষ্ঠান স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক কিনতে পারবেন। গ্রাহকদের পক্ষে শেয়ার বেচা-কেনা করে দেওয়ার ব্যবসা করতে এই ট্রেক পাওয়া যাবে। তবে এই ট্রেকের মালিক স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার হবেন না। শুধুমাত্র শেয়ার ও ইউনিট বেচা-কেনা করার সুযোগ পাবেন। কোন প্রতিষ্ঠান ট্রেক পেলে তা হস্তান্তর করা যাবে না। আবার নিবন্ধন পাওয়ার এক বছরের মধ্যে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা ২০০০ অনুযায়ী স্টক-ডিলার বা স্টক-ব্রোকার’র সনদ নিতে হবে। এই সনদ নেয়ার ৬ মাসের মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে না পারলে ট্রেক বাতিল হয়ে যাবে।
বিজনেস আওয়ার/২১ জুন, ২০২১/আরএ