বিনোদন ডেস্ক : বোট ক্লাবের ঘটনার পর ঢাকার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের ঘটনা প্রকাশ হয়। সম্প্রতি বোট ক্লাব ও গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব থেকে সিসিটিভি ও মোবাইলে ধারণকৃত একাধিক ভিডিও ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। এছাড়া বোট ক্লাবের ঘটনায় পরীমনির দায়ের করা মামলার এজাহারে যা উল্লেখ আছে, সেগুলোও একে একে মিথ্যা প্রমাণ হচ্ছে। নিজেকে বাঁচাতে যে চালটা চেলেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি সেই চাল উল্টে এখন নিজেই ফেঁসে যেতে চলেছেন অভিনেত্রী।
পরীমনি মামলার এজাহারে যে অভিযোগগুলো করেছেন, তার সঙ্গে একেবারেই মিলছে না ওই ভিডিও ফুটেজ। ওইসব ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতোমধ্যেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, তবে কি ব্যবসায়ী নাসিরকে ফাঁদে ফেলে ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ উদ্ধার করতে চান পরীমনি?
পরীমনি তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ব্যবসায়ী নাসির তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। তাকে নাকি মুখ চেপে ধরে জোর করে মদ পান করানো হয়েছিল। কিন্তু বোট ক্লাব থেকে ফাঁস হওয়া একাধিক ভিডিওতে তেমন কোনো ঘটনা দেখা যায়নি। বরং একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পরীমনি তার সঙ্গীদের নিয়ে টেবিলে বসে স্বাভাবিকভাবেই মদ পান করছেন।
ওই ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ব্যবসায়ী নাসির পরীমনিকে মদ খেতে বারণ করছেন, এর উত্তরে পরীমনি তাকে বলছেন, ‘এই যা’। একাধিক বার নায়িকা ‘এই যা’ শব্দ দুটি উচ্চারণ করেন। এরপর পরীমনি একটি ব্লু-লেভেল বিদেশি মদের বোতল নিতে গেলে তার সঙ্গে ব্যবসায়ী নাসির উচ্চবাক্য বিনিময় হয়।
এক পর্যায়ে পরীমনি নাসিরের দিকে গ্লাস-প্লেট ছুঁড়ে মারতে শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাসির চড় বসিয়ে দেন পরীর গালে। এরপর রব উঠেছে, এই চড়ের বদলা নিতেই পরবর্তী নাটকগুলো সাজিয়েছেন পরীমনি। কারণ, তাকে ধর্ষণচেষ্টার কোনো আলামতও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই বোট ক্লাবের ভিডিওগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ভিডিওটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে এসেছে। মূল মামলাটির তদন্ত ডিএমপি করছে না। ডিএমপি শুধু মাদক মামলার তদন্ত করছে। ভিডিওটির বিষয়ে তদন্ত করবে ঢাকা জেলার সাভার থানা পুলিশ।
বিজনেস আওয়ার/২৪ জুন, ২০২১/এ