ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ দেখে বর কনেসহ অতিথিদের ভোঁদৌড়!

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
  • 56

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : কমিউনিটি সেন্টারে ছয়শ’ অতিথির উপস্থিতিতে রীতিমতো সাজসাজ রব। কেউ খাচ্ছেন, কেউ বা আবার উপহার বুঝিয়ে দিয়ে পান চিবুতে চিবুতে খোশগল্পে মাতেছেন। থেমে নেই আয়াসুয়োর দলও। শাড়ি লেহেঙ্গার ঝকমারি সাজে বিয়ে আনন্দে উদ্বেল তারা।

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলাধীন নোয়াপাড়া এলাকার কর্ণফুলী কনভেনশন হলে সোমবার (২৮ জুন) দুপুর থেকেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল সেখানে। বেলা বাড়তে অতিথি সমাগম বাড়ার সাথেসাথে ঘনিয়ে আসে বিয়ের ক্ষণও। আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে সবাই হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন যে, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় এসব অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

দুপুর ১ টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার-এএসপি (রাউজান রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলের সামনে পুলিশের গাড়ি দাঁড়াতেই হুলস্থুল পড়ে যায়। পুলিশ দেখে এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে দেয় সবাই।

পগারপার কমিউনিটি সেন্টার কর্ণফুলী কনভেনশন হল’র ব্যবস্থাপক এবং আয়োজক ছেলে-মেয়ের মা-বাবাও। প্লেট,খাবারদাবার, উপহার সব ফেলে দৌড়ে পালাতে শুরু করে অতিথিরা। বাদ যাননি বর রফিকুল ইসলাম এবং কনে শাহনাজ বেগমও। সুযোগ বুঝে সন্তর্পণে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন তারা।

উৎসবে গমগম করা একটি বিয়েবাড়ি মুহূর্তে ভুতুড়ে বাড়িতে রূপ নেয়। ঘন্টা দুয়েক পর ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন বাদশা এবং পাত্রীর বাবা মো. জামাল উদ্দিনের হদিস মেলে। পরে তারা দুইজন এএসপির নিকট এই মর্মে মুচলেকা দেন যে, তারা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আর কখনো এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন না।

এ প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার ( এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, আনুমানিক ৫/৬ শ অতিথির উপস্থিতিতে সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। কিন্তু আমাদেরকে দেখেই তারা যে যার মতো করে অনুষ্ঠানস্থল হতে চলে যান। তাৎক্ষণিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ এবং আয়োজকদেরকে প্রথমবারের মতো সতর্ক করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৮ জুন, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পুলিশ দেখে বর কনেসহ অতিথিদের ভোঁদৌড়!

পোস্ট হয়েছে : ০৭:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : কমিউনিটি সেন্টারে ছয়শ’ অতিথির উপস্থিতিতে রীতিমতো সাজসাজ রব। কেউ খাচ্ছেন, কেউ বা আবার উপহার বুঝিয়ে দিয়ে পান চিবুতে চিবুতে খোশগল্পে মাতেছেন। থেমে নেই আয়াসুয়োর দলও। শাড়ি লেহেঙ্গার ঝকমারি সাজে বিয়ে আনন্দে উদ্বেল তারা।

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলাধীন নোয়াপাড়া এলাকার কর্ণফুলী কনভেনশন হলে সোমবার (২৮ জুন) দুপুর থেকেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল সেখানে। বেলা বাড়তে অতিথি সমাগম বাড়ার সাথেসাথে ঘনিয়ে আসে বিয়ের ক্ষণও। আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে সবাই হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন যে, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় এসব অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

দুপুর ১ টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার-এএসপি (রাউজান রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলের সামনে পুলিশের গাড়ি দাঁড়াতেই হুলস্থুল পড়ে যায়। পুলিশ দেখে এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে দেয় সবাই।

পগারপার কমিউনিটি সেন্টার কর্ণফুলী কনভেনশন হল’র ব্যবস্থাপক এবং আয়োজক ছেলে-মেয়ের মা-বাবাও। প্লেট,খাবারদাবার, উপহার সব ফেলে দৌড়ে পালাতে শুরু করে অতিথিরা। বাদ যাননি বর রফিকুল ইসলাম এবং কনে শাহনাজ বেগমও। সুযোগ বুঝে সন্তর্পণে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন তারা।

উৎসবে গমগম করা একটি বিয়েবাড়ি মুহূর্তে ভুতুড়ে বাড়িতে রূপ নেয়। ঘন্টা দুয়েক পর ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন বাদশা এবং পাত্রীর বাবা মো. জামাল উদ্দিনের হদিস মেলে। পরে তারা দুইজন এএসপির নিকট এই মর্মে মুচলেকা দেন যে, তারা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আর কখনো এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন না।

এ প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার ( এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, আনুমানিক ৫/৬ শ অতিথির উপস্থিতিতে সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। কিন্তু আমাদেরকে দেখেই তারা যে যার মতো করে অনুষ্ঠানস্থল হতে চলে যান। তাৎক্ষণিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ এবং আয়োজকদেরকে প্রথমবারের মতো সতর্ক করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৮ জুন, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: