বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য, গুজব ও অপপ্রচারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর সে কারণে একটি নতুন আইন করা হচ্ছে। আইনটি পাস হলে সামাজিক মাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো যেন দেশে অফিস স্থাপনে বাধ্য হয়, সে বিধান রাখা হচ্ছে আইনে। একইসঙ্গে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী অপপ্রচারকারীদের তালিকাও তৈরি করছে সরকার। সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের উৎসে পরিণত হচ্ছে। উস্কানি এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার মাধ্যম হিসেবে অনেকেই এটি ব্যবহার করছেন। ফেসবুকের জন্মই হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম হিসেবে। অনেকে এটাকে চমৎকারভাবে ভালো কাজে ব্যবহার করছেন। ইদানিং দেখা যাচ্ছে, অনেকে এটাকে খারাপ কাজে ব্যবহার করছেন। এজন্য ফেসবুকের কোনো দায় নেই, এটা আমাদের নৈতিকতা, মানসিকতার বিষয়।
তিনি বলেন, ফেসবুকে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী অনেক পোস্ট ও মন্তব্য দেখা যায়। সবার আগে আমাদের বুঝতে হবে যে, অন্য কেউ যদি এগুলো দেখে পোষ্ট বা লাইক শেয়ার না করে তাহলে কিন্তু এটা ছড়ায় না। আমরা যদি তাদের কাজে সাড়া না দেই তাহলে দেখা যাবে একসময় রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী পোস্ট আর কেউ দেবে না।
পলক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী পোস্ট নিয়ন্ত্রণে আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। কেউ যদি এ ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট বা গুজব ছড়ায়, তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় সরকার। এসব মাধ্যমে গুজব প্রচার করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এমনকি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল খুলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধ কমানো ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে ছড়ানো সব ধরনের অপরাধ অপপ্রচার ঠেকাতে নতুন আইন করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অফিস স্থাপনেরও বিধান রাখা হবে। এরইমধে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক এ ধরনের আইন করেছে। তাদের আইনের ধারাগুলো পর্যালোচনা করে এই আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হবে।
বিজনেস আওয়ার/২৯ জুন, ২০২১/এ