বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ‘ক্ষমা চাওয়া ছাড়া খালেদা জিয়াার সু-চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই’ -আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এ বক্তব্যকে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রিন্স বলেন, যিনি (খালেদা জিয়া) কোনো অপরাধই করেন নাই তার ক্ষমা চাওয়ারও প্রশ্নই আসে না। তাঁর উন্নত চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকার ইচ্ছাকৃত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। যা ভ্রষ্টাচার ছাড়া কিছুই নয়।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছেন- দোষ স্বীকার করে ক্ষমা না চাইলে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেখছেন না তিনি। গত ৫ মে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে আবেদন করা হলে তখন আইনমন্ত্রী বলেছিলেন ‘সরকার যে শর্তে তাকে মুক্তি দিয়েছেন, সেই শর্ত শিথিল করলে বিদেশে যেতে আইনগত কোনো বাধা থাকে না। এটা নির্ভর করছে একেবারেই সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর, সরকার বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে।
কিন্তু ২-১ দিন পরই মন্ত্রী ইউটার্ন নিয়ে বললেন ‘সম্ভব নয়’। আর এখন বলছেন ‘ক্ষমা চাইতে হবে’। এগুলো সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ এবং রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রিত ও কলুষিত করার ব্যর্থ চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।
বিএনপি নেতা প্রিন্সের দাবি, সরকার প্রথম দফায় তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসার শর্ত দিলেও পরে বাংলাদেশের যেকোন হাসপাতালে চিকিৎসার শর্ত দেয়। সরকার নিজেই শর্ত সংশোধন করেছে। তাই আবার শর্ত সংশোধন কিংবা শিথিল করা যাবে না- মন্ত্রীর এই বক্তব্য ঠিক নয়।
বিজনেস আওয়ার/০১ জুলাই, ২০২১/এ