ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাল-ডাল-তেলের বাজার চড়া

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
  • 117

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানীর খুচরা বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল। তেলের পাশাপাশি চাল-ডালও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। শনিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা এলাকায় দেখে গেছে, এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৩ টাকায়। অথচ শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে এই তেল বিক্রি করার কথা ১৪৯ টাকা লিটার।

একইভাবে ৫ লিটার বোতলের তেল বিক্রি করার কথা ৭১২ টাকায়। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৭৩৫-৭৪০ টাকায়। খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১২৮-১২৯ টাকা, কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা দরে। একই তেল গতকাল শুক্রবার থেকে লিটারপ্রতি বিক্রির কথা ১২৫ টাকায়। এছাড়াও পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১৫-২১০ টাকা লিটার। বিক্রির কথা ছিল ১০৮ টাকায়।

গত ৩০ জুন ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪ টাকা কমানোর হয়েছে। যা ১ জুলাই শুক্রবার থেকে খুচরা বাজারে কার্যকর হবে। কিন্তু খুচরা বাজারে আজ শনিবারও গিয়ে দেখা গেছে উল্টো চিত্র।

এ প্রসঙ্গে সংগঠনের সচিব নূরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আমরা তো তেলে দাম কমিয়েছি। এই তেল আগের কেনা। তাই আগের দামেই বিক্রি করছি। বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করে আমরা কি লস দিমু? খুচরা ব্যবসায়ীরা না কমালে বাজার মনিটরিং টিম বিষয়টি দেখভাল করবে।

ক্রেতা হারুন অর রশিদ বলেন, খবরে দেখলাম তেলের দাম কমেছে। কিন্তু বাজারে তেল কিনিতে এসে দেখি বাড়তি। একবার কোনো জিনিসের দাম বাড়লে আর কমে না। ব্যবসায়ীদের কথায় কোনো বিশ্বাস নেই। কথা কাজে তাদের কোনো মিল নেই।

এদিকে তেলের পাশাপাশি চাল-ডাল বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। রাজধানীর বাজারগুলোতে সবচেয়ে কম দামের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। মোটা এই চালের নাম পাইজম। ২৮-২৯ নম্বর চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকা কেজিতে। এর চেয়ে চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকা কেজিতে। মিনিকেট ও নাজির বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। ভালো মানের নাজির ও মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজিতে। আর বাসমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে।

এছাড়া বাজারে বড় দানার মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে। আর মাঝারি দানার ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা। আর ভালো ছোট দানার ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা কেজি। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকা কেজিতে।

বিজনেস আওয়ার/০৩ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চাল-ডাল-তেলের বাজার চড়া

পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানীর খুচরা বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল। তেলের পাশাপাশি চাল-ডালও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। শনিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা এলাকায় দেখে গেছে, এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৩ টাকায়। অথচ শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে এই তেল বিক্রি করার কথা ১৪৯ টাকা লিটার।

একইভাবে ৫ লিটার বোতলের তেল বিক্রি করার কথা ৭১২ টাকায়। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৭৩৫-৭৪০ টাকায়। খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১২৮-১২৯ টাকা, কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা দরে। একই তেল গতকাল শুক্রবার থেকে লিটারপ্রতি বিক্রির কথা ১২৫ টাকায়। এছাড়াও পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১৫-২১০ টাকা লিটার। বিক্রির কথা ছিল ১০৮ টাকায়।

গত ৩০ জুন ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪ টাকা কমানোর হয়েছে। যা ১ জুলাই শুক্রবার থেকে খুচরা বাজারে কার্যকর হবে। কিন্তু খুচরা বাজারে আজ শনিবারও গিয়ে দেখা গেছে উল্টো চিত্র।

এ প্রসঙ্গে সংগঠনের সচিব নূরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আমরা তো তেলে দাম কমিয়েছি। এই তেল আগের কেনা। তাই আগের দামেই বিক্রি করছি। বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করে আমরা কি লস দিমু? খুচরা ব্যবসায়ীরা না কমালে বাজার মনিটরিং টিম বিষয়টি দেখভাল করবে।

ক্রেতা হারুন অর রশিদ বলেন, খবরে দেখলাম তেলের দাম কমেছে। কিন্তু বাজারে তেল কিনিতে এসে দেখি বাড়তি। একবার কোনো জিনিসের দাম বাড়লে আর কমে না। ব্যবসায়ীদের কথায় কোনো বিশ্বাস নেই। কথা কাজে তাদের কোনো মিল নেই।

এদিকে তেলের পাশাপাশি চাল-ডাল বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। রাজধানীর বাজারগুলোতে সবচেয়ে কম দামের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। মোটা এই চালের নাম পাইজম। ২৮-২৯ নম্বর চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকা কেজিতে। এর চেয়ে চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকা কেজিতে। মিনিকেট ও নাজির বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। ভালো মানের নাজির ও মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজিতে। আর বাসমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে।

এছাড়া বাজারে বড় দানার মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে। আর মাঝারি দানার ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা। আর ভালো ছোট দানার ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা কেজি। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকা কেজিতে।

বিজনেস আওয়ার/০৩ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: