ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুচরা বাজারে মসলার চড়া দাম

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • 81

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এমন অবস্থায় রাজধানীতে মসলার পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। পাইকারি বাজার বন্ধ থাকায় মসলার এক ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে খুচরা বাজারে মসলার দাম বেড়েছে।

জানা গেছে, খুচরা পর্যায়ে শুকনা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, যা বিধিনিষেধের আগে ছিল ১৭০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ, হলুদ, আদাসহ বিভিন্ন মসলার দাম বেড়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে হলুদ ও আদার দাম।

১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া হলুদের দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকায়। দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।

খুচরা পর্যায়ে জিরার কেজি ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। এখন তা বেড়ে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৪৬০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।

বিভিন্ন মসলার দাম বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর প্রতিবেদনেও। তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে শুকনা মরিচের ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, দেশি হলুদের ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, আমদানি করা হলুদের ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, দেশি আদার ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ, আমদানি করা আদার ৪৪ শতাংশ, জিরার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং দারুচিনির ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।

এ বিষয়ে পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, এবার কোরবানির ঈদের আগে মসলার দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ মসলার সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। আমাদের কাছে প্রচুর মসলা আমদানি করা আছে।

তিনি বলেন, সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করায় বৃহস্পতিবার থেকে আমরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছিলাম। তবে আজ বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন- আমরা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারব। তাই আগামীকাল থেকে মৌলভীবাজারের মসলার দোকান খোলা থাকবে। কেউ কেউ আজ থেকেই দোকান খুলবেন।

তিনি আরও বলেন, পাইকারি দোকান বন্ধ থাকায় খুচরা পর্যায়ে মসলার দাম একটু বেড়েছে। তবে পাইকারি বাজারে কোনো মসলার দাম বাড়েনি। বরং কিছু কিছু মসলার দাম কমেছে। এখন পাইকারি বাজার খুলে গেলে খুচরা পর্যায়ে মসলার দাম আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।

বিভিন্ন মসলার দাম বাড়ার বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, পাইকারি বাজারে মসলা পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের আগে কেনা ছিল সেই মাল এখন বিক্রি করছি। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সামনে মসলার দাম আরও বাড়বে। কারণ কোরবানির ঈদ কাছাকাছি চলে এসেছে।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী ইয়াসিন বলেন, সরবরাহ না থাকায় এখন মসলার দাম একটু বেশি। চাহিদার তুলনায় এখন সব ধরনের মসলার সরবরাহ কম। তাছাড়া কোরবানির ঈদের এ প্রায় ১৫ দিন বাকি আছে। স্বাভাবিকভাবেই সামনে মসলার দাম বাড়বে।

বিজনেস আওয়ার/০৪ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

খুচরা বাজারে মসলার চড়া দাম

পোস্ট হয়েছে : ০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এমন অবস্থায় রাজধানীতে মসলার পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। পাইকারি বাজার বন্ধ থাকায় মসলার এক ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে খুচরা বাজারে মসলার দাম বেড়েছে।

জানা গেছে, খুচরা পর্যায়ে শুকনা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, যা বিধিনিষেধের আগে ছিল ১৭০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ, হলুদ, আদাসহ বিভিন্ন মসলার দাম বেড়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে হলুদ ও আদার দাম।

১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া হলুদের দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকায়। দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।

খুচরা পর্যায়ে জিরার কেজি ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। এখন তা বেড়ে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৪৬০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।

বিভিন্ন মসলার দাম বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর প্রতিবেদনেও। তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে শুকনা মরিচের ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, দেশি হলুদের ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, আমদানি করা হলুদের ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, দেশি আদার ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ, আমদানি করা আদার ৪৪ শতাংশ, জিরার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং দারুচিনির ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।

এ বিষয়ে পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, এবার কোরবানির ঈদের আগে মসলার দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ মসলার সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। আমাদের কাছে প্রচুর মসলা আমদানি করা আছে।

তিনি বলেন, সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করায় বৃহস্পতিবার থেকে আমরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছিলাম। তবে আজ বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন- আমরা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারব। তাই আগামীকাল থেকে মৌলভীবাজারের মসলার দোকান খোলা থাকবে। কেউ কেউ আজ থেকেই দোকান খুলবেন।

তিনি আরও বলেন, পাইকারি দোকান বন্ধ থাকায় খুচরা পর্যায়ে মসলার দাম একটু বেড়েছে। তবে পাইকারি বাজারে কোনো মসলার দাম বাড়েনি। বরং কিছু কিছু মসলার দাম কমেছে। এখন পাইকারি বাজার খুলে গেলে খুচরা পর্যায়ে মসলার দাম আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।

বিভিন্ন মসলার দাম বাড়ার বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, পাইকারি বাজারে মসলা পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের আগে কেনা ছিল সেই মাল এখন বিক্রি করছি। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সামনে মসলার দাম আরও বাড়বে। কারণ কোরবানির ঈদ কাছাকাছি চলে এসেছে।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী ইয়াসিন বলেন, সরবরাহ না থাকায় এখন মসলার দাম একটু বেশি। চাহিদার তুলনায় এখন সব ধরনের মসলার সরবরাহ কম। তাছাড়া কোরবানির ঈদের এ প্রায় ১৫ দিন বাকি আছে। স্বাভাবিকভাবেই সামনে মসলার দাম বাড়বে।

বিজনেস আওয়ার/০৪ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: