ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চারদিন পর খুলছে শেয়ারবাজার

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১
  • 53

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে সাত দিনের কঠোর লকডাউন চলছে। সোমবার (৫ জুলাই) লকডাউনের পঞ্চম দিন চলছে। এরই মধ্যে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে সংগতি রেখে চার দিন পর আজ খোলা হচ্ছে দেশের উভয় শেয়ারবাজার।

জানা গেছে, আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শেয়েরবাজারে লেনদেন চালু থাকবে। কোনো বিনিয়োগকারী সশরীরে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে লেনদেন করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা ডিজিটাল ব‌্যবস্থায় অর্থাৎ মোবাইল ফোন, অনলাইন ও অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন বলে নির্দেশনা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে লকডাউন চলাকালে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলাচলের জন্য বিশেষ পাশের ব্যবস্থা করেছে বিএসইসি।

বিএসইসির জারি করা নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, কঠোর লকডাউনের মধ্যে ৫ জুলাই থেকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শেয়ারবাজারে শুধু ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন চালু থাকবে। কোনো বিনিয়োগকারী সশরীরে কোনো প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবে না।

বিশেষ পাশের বিষয়ে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ঘোষিত চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপকালীন সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। যা ৫ জুলাই ২০১১ থেকে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র বলেন, ‘শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলাচলের জন্য বিশেষ পাশের ব্যবস্থা করেছে বিএসইসি। আসলে আমরা এক ধরনের প্রত্যয়নপত্র ইস্যু করেছি। এটা দেখে আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বুঝতে পারবেন যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শেয়ারবাজারের জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্ত। যারা কেবল লেনদেন পরিচালনা করবেন, শুধু তাদের জন্যই এটি ইস্যু করা হয়েছে। আর স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে সীমিত জনবল দিয়ে অফিস চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনো বিনিয়োগকারী সশরীরে উপস্থিত থেকে লেনদেন করতে পারবেন না। তাদেরকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন করতে হবে।’

সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শেয়ারবাজার খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকগুলোর সাপ্তাহিক ছুটি তিন দিন নির্ধারণ করেছে। সপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার ছাড়াও রোববারও ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ফলে লকডাউন চলাকালে শেয়ারবাজারে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে তিন দিন। আর লেনদেন হবে ৪ দিন।

বিজেনস আওয়ার/০৫ জুলই, ২০২১/এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চারদিন পর খুলছে শেয়ারবাজার

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে সাত দিনের কঠোর লকডাউন চলছে। সোমবার (৫ জুলাই) লকডাউনের পঞ্চম দিন চলছে। এরই মধ্যে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে সংগতি রেখে চার দিন পর আজ খোলা হচ্ছে দেশের উভয় শেয়ারবাজার।

জানা গেছে, আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শেয়েরবাজারে লেনদেন চালু থাকবে। কোনো বিনিয়োগকারী সশরীরে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে লেনদেন করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা ডিজিটাল ব‌্যবস্থায় অর্থাৎ মোবাইল ফোন, অনলাইন ও অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন বলে নির্দেশনা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে লকডাউন চলাকালে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলাচলের জন্য বিশেষ পাশের ব্যবস্থা করেছে বিএসইসি।

বিএসইসির জারি করা নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, কঠোর লকডাউনের মধ্যে ৫ জুলাই থেকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শেয়ারবাজারে শুধু ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন চালু থাকবে। কোনো বিনিয়োগকারী সশরীরে কোনো প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবে না।

বিশেষ পাশের বিষয়ে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ঘোষিত চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপকালীন সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। যা ৫ জুলাই ২০১১ থেকে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র বলেন, ‘শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলাচলের জন্য বিশেষ পাশের ব্যবস্থা করেছে বিএসইসি। আসলে আমরা এক ধরনের প্রত্যয়নপত্র ইস্যু করেছি। এটা দেখে আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বুঝতে পারবেন যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শেয়ারবাজারের জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্ত। যারা কেবল লেনদেন পরিচালনা করবেন, শুধু তাদের জন্যই এটি ইস্যু করা হয়েছে। আর স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে সীমিত জনবল দিয়ে অফিস চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনো বিনিয়োগকারী সশরীরে উপস্থিত থেকে লেনদেন করতে পারবেন না। তাদেরকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন করতে হবে।’

সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শেয়ারবাজার খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকগুলোর সাপ্তাহিক ছুটি তিন দিন নির্ধারণ করেছে। সপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার ছাড়াও রোববারও ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ফলে লকডাউন চলাকালে শেয়ারবাজারে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে তিন দিন। আর লেনদেন হবে ৪ দিন।

বিজেনস আওয়ার/০৫ জুলই, ২০২১/এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: