বিনোদন ডেস্ক : করোনা ভাইরাস সংক্রমণে স্থবির হয়ে পড়া হলিউড চলচ্চিত্র আবারো শুটিং শুরুছে। পাশাপাশি থেমে নেই পর্ন ইন্ডাষ্ট্রিও। কিভাবে খোলা যাবে পর্নো ইন্ডাষ্ট্রি? ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি অনেকাংশেই বিনোদন জগতের ওপর নির্ভরশীল। তার মধ্যে পর্নো ইন্ডাষ্ট্রিও একটি।
পর্ন ইন্ডাষ্ট্রির একজন পরিচালক জানান, শিল্পী-কুশলীদের পরীক্ষা করে তবে ক্যামেরার সামনে যেতে হবে। ডেডলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সাল থেকে ‘পর্নো ইন্ডাস্ট্রি’তে অভিনয় করা শিল্পীদের ক্ষেত্রে নানান রকম শারীরিক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়।
এরমধ্যে নিয়মিত এইচআইভি এবং অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগের পরীক্ষা। যৌনদৃশ্যে অভিনয়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বনের ব্যাপারে সতর্ক করা হয় নির্দেশনায়। এই দৃশ্য ধারণের সময়ে একেবারেই প্রয়োজনীয় ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকে রাখা যাবে না। এমনকি মনিটরের সামনেও না।
কোভিড-১৯ গাইডলাইনে পর্ন তারকাদের ক্ষেত্রে নির্দেশনা হল শুটিংয়ের অন্তত দুএকদিন আগে তাদের পরীক্ষা করাতে হবে। নেগেটিভ রেজাল্ট হলে অবশ্যই শুটিংয়ের আগে ‘সেলফ আইসোলেশন’য়ে থাকতে হবে। আর সেটা চালিয়ে যেতে হবে শুটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
অ্যাডাল্ট এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি’র সঙ্গে জড়িত শিল্পীদের এমনিতেই সপ্তাহে একবার এইচআইভি, গনোরিয়া, জন্ডিস, সিফিলিস-সহ বিভিন্ন যৌনবাহিত রোগের পরীক্ষা করাতে হয়। আর সেসব তথ্য ‘পারফর্মার অ্যাভেইলাবিলিটি শিডিউল সার্ভিস’ বা ‘পিএএসএস – পাস’ নামের সিস্টেমে লিপিবদ্ধ থাকে।
কোনো শিল্পীর নামের পাশে যদি ‘এক্স’ চিহ্ন থাকে তবে ধরে নেওয়া হয় লিপিবদ্ধ তথ্যের মেয়াদ হয় শেষ হয়েছে নইলে শিল্পীর কোনো একটা রোগ ধরা পড়েছে। আর এই সিস্টেমেই নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে কোভিড-১৯ পরীক্ষার তথ্য। যেখানে থাকবে কোন শিল্পীর কতদিন আগে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
বিজনেস আওয়ার/২৭ জুন, ২০২০/এ