ঢাকা , শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের বাইরে সবচেয়ে বড় জয় পেলো বাংলাদেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
  • 14

স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে অপেক্ষা করছিল শেষ দিনের রোমাঞ্চ। লড়াইটা উত্তেজনা ছড়াতে পারতো। সেটা আর হলো না। পঞ্চম দিনে স্বাগতিক দল প্রতিরোধ গড়লেও ২২০ রানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। ইতিহাস জানাচ্ছে, দেশের বাইরে রানের হিসেবে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।

জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য ছিল ৪৭৭ রানের। জিততে হলে বিশ্বরেকর্ডই গড়তো হতো। শেষ দিনে স্বাগতিকদের হাতে ছিল ৭ উইকেট, দরকার ৩৩৭ রান। যে কোনো পিচেই কঠিন লক্ষ্য। জিম্বাবুয়ে সেই লক্ষ্য তাড়া করার চেষ্টাও করেনি। বরং ১৬৪ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ড্রয়ের অসাধ্য সাধন করার চেষ্টা করে স্বাগতিকরা।

শেষ তিন উইকেটে তারা ৩৪.৩ ওভার কাটিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাতে মাত্র ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ে যখন নিশ্চিত হারের মুখে। তখন মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন তিরিপানো। সঙ্গী যাকেই পেয়েছেন, ওভার কাটানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টা থেমেছে এবাদত হোসেনের শিকার হয়ে। ১৪৪ বলে ৫২ রান করে তিরিপানো দিয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ। তারপর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। রিচার্ড এনগারাভাকে (১০) বোল্ড করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্লেসিং মুজারবানি ৩০ রানে অপরাজিত থেকে যান।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ আর মেহেদি হাসান মিরাজ-দুজনই নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। বাকি দুই উইকেটের একটি সাকিব আল হাসান, অপরটি এবাদতের।

ডিওন মায়ার্স এবং ডোনাল্ড তিরিপানো ব্যাট করতে নামেন পঞ্চম দিনে। মায়ার্স ১৮ এবং তিরিপানো ছিল ৭ রানে অপরাজিত। শেষ দিন আজ ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাক্তিগত ৮ রানে আউট হয়ে যান মায়ার্স। ২৬ রান করে আউট হন তিনি মিরাজের বলে।

এরপর মাঠে নেমেই একই ওভারে মিরাজের শিকারে পরিণত হন তিমিসেন মারুমা। নামের পাশে কোনো রানই যোগ করতে পারেরনি তিনি। এরপর ব্যাট করতে নামেন রয় কাইয়া। ৫টি বল খেলতে পারলেও কোনো রান করতে পারেননি। এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান তাসকিনের বলে।

রেগিস চাকাভা মাঠে নেমে জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন ডোনাল্ড তিরিপানোর সঙ্গে। কিন্তু তার জুটিও টেকার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। কারণ, তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে যান চাকাভা, করেন মাত্র ১ রান। ৭ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে।

লাঞ্চের পরও অনেকটা সময় বাংলাদেশকে উইকেটের জন্য অপেক্ষায় রাখেন ডোনাল্ড তিরিপানো আর ভিক্টর নিয়াচি। ১৫ ওভারে যোগ করেন ৩৪ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভেঙেছেন বল হাতে আগুন ঝরানো তাসকিন।

ডানহাতি এই পেসারের দ্রুতগতির এক শর্ট ডেলিভারি বুঝতে না পেরে বুক সমান উচ্চতায় ব্যাট ধরে দেন নিয়াচি। বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় প্রথম স্লিপে। সেখানে সাকিব প্রথম দফায় হাত ফস্কালেও পরের চেষ্টায় ধরে ফেলেন ক্যাচটি। জিম্বাবুইয়ান লোয়ার অর্ডারের ৫৪ বলে ১০ রানের প্রতিরোধ ভাঙে তাতে।

নিয়াচি ফেরার পর আবার ব্লেসিং মুজারবানিকে নিয়ে ১৩ ওভারের বেশি কাটিয়ে দেন তিরিপানো। তবে আর পারেননি। ১৪৪ বলে ৫২ রান করে জিম্বাবুইয়ান নাইটওয়াচম্যান এবাদতের শিকার হওয়ার পর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৯৪.৪ ওভারে অলআউট হয়েছে ২৫৬ রানে।

বিজনেস আওয়ার/১১ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দেশের বাইরে সবচেয়ে বড় জয় পেলো বাংলাদেশ

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে অপেক্ষা করছিল শেষ দিনের রোমাঞ্চ। লড়াইটা উত্তেজনা ছড়াতে পারতো। সেটা আর হলো না। পঞ্চম দিনে স্বাগতিক দল প্রতিরোধ গড়লেও ২২০ রানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। ইতিহাস জানাচ্ছে, দেশের বাইরে রানের হিসেবে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।

জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য ছিল ৪৭৭ রানের। জিততে হলে বিশ্বরেকর্ডই গড়তো হতো। শেষ দিনে স্বাগতিকদের হাতে ছিল ৭ উইকেট, দরকার ৩৩৭ রান। যে কোনো পিচেই কঠিন লক্ষ্য। জিম্বাবুয়ে সেই লক্ষ্য তাড়া করার চেষ্টাও করেনি। বরং ১৬৪ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ড্রয়ের অসাধ্য সাধন করার চেষ্টা করে স্বাগতিকরা।

শেষ তিন উইকেটে তারা ৩৪.৩ ওভার কাটিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাতে মাত্র ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ে যখন নিশ্চিত হারের মুখে। তখন মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন তিরিপানো। সঙ্গী যাকেই পেয়েছেন, ওভার কাটানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টা থেমেছে এবাদত হোসেনের শিকার হয়ে। ১৪৪ বলে ৫২ রান করে তিরিপানো দিয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ। তারপর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। রিচার্ড এনগারাভাকে (১০) বোল্ড করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্লেসিং মুজারবানি ৩০ রানে অপরাজিত থেকে যান।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ আর মেহেদি হাসান মিরাজ-দুজনই নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। বাকি দুই উইকেটের একটি সাকিব আল হাসান, অপরটি এবাদতের।

ডিওন মায়ার্স এবং ডোনাল্ড তিরিপানো ব্যাট করতে নামেন পঞ্চম দিনে। মায়ার্স ১৮ এবং তিরিপানো ছিল ৭ রানে অপরাজিত। শেষ দিন আজ ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাক্তিগত ৮ রানে আউট হয়ে যান মায়ার্স। ২৬ রান করে আউট হন তিনি মিরাজের বলে।

এরপর মাঠে নেমেই একই ওভারে মিরাজের শিকারে পরিণত হন তিমিসেন মারুমা। নামের পাশে কোনো রানই যোগ করতে পারেরনি তিনি। এরপর ব্যাট করতে নামেন রয় কাইয়া। ৫টি বল খেলতে পারলেও কোনো রান করতে পারেননি। এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান তাসকিনের বলে।

রেগিস চাকাভা মাঠে নেমে জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন ডোনাল্ড তিরিপানোর সঙ্গে। কিন্তু তার জুটিও টেকার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। কারণ, তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে যান চাকাভা, করেন মাত্র ১ রান। ৭ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে।

লাঞ্চের পরও অনেকটা সময় বাংলাদেশকে উইকেটের জন্য অপেক্ষায় রাখেন ডোনাল্ড তিরিপানো আর ভিক্টর নিয়াচি। ১৫ ওভারে যোগ করেন ৩৪ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভেঙেছেন বল হাতে আগুন ঝরানো তাসকিন।

ডানহাতি এই পেসারের দ্রুতগতির এক শর্ট ডেলিভারি বুঝতে না পেরে বুক সমান উচ্চতায় ব্যাট ধরে দেন নিয়াচি। বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় প্রথম স্লিপে। সেখানে সাকিব প্রথম দফায় হাত ফস্কালেও পরের চেষ্টায় ধরে ফেলেন ক্যাচটি। জিম্বাবুইয়ান লোয়ার অর্ডারের ৫৪ বলে ১০ রানের প্রতিরোধ ভাঙে তাতে।

নিয়াচি ফেরার পর আবার ব্লেসিং মুজারবানিকে নিয়ে ১৩ ওভারের বেশি কাটিয়ে দেন তিরিপানো। তবে আর পারেননি। ১৪৪ বলে ৫২ রান করে জিম্বাবুইয়ান নাইটওয়াচম্যান এবাদতের শিকার হওয়ার পর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৯৪.৪ ওভারে অলআউট হয়েছে ২৫৬ রানে।

বিজনেস আওয়ার/১১ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: