ঢাকা , রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিলদার নেই ১৮ বছর

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
  • 55

বিনোদন ডেস্ক : বাংলা ছবি দেখতে দেখতে কষ্ট-বেদনায় মন যখন আচ্ছন্ন হয়ে থাকতো তখনই তিনি হাজির হতেন হাসির সুবাতাস বইয়ে দিয়ে। তার নামে দর্শক হলে আসত। তিনি তাই ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার হয়ে উঠেছিলেন। বলছি নন্দিত কৌতুক অভিনেতা দিলদারের কথা।

আজ ১৩ জুলাই দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের এই দিনে তিনি জীবনের মায়া কাটিয়ে চিরদিনের মতো পৃথিবী ত্যাগ করেন। দেখতে দেখতে কেটে গেল ১৮টি বছর, দিলদার নেই। তবে তিনি থেকে গেছেন অসংখ্য চলচ্চিত্রে তার দুর্দান্ত অভিনয়ে; কৌতুক অভিনয়ের কিংবদন্তি হয়ে।

১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। তিনি এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনার ইতি টানেন। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামের চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন। আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি।

অভিনয় করেছেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘সুন্দর আলীর জীবন সংসার’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রে।

দিলদারের জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে, তাকে নায়ক করে নির্মাণ হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। নূতনের বিপরীতে এই ছবিতে বাজিমাত করেছিলেন তিনি। দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো ছবিতে ঠাঁই পাওয়া গানগুলো।

সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন। ভাগ্যের পরিহাস, সে বছরই মৃত্যু বরণ।করেন তিনি। বাংলা সিনেমার দর্শক বঞ্চিত হয়েছে তার প্রাণ জুড়ানো অভিনয় থেকে।

তার মৃত্যুর পর আরও অনেক কৌতুক অভিনেতাই এসেছেন, আবার সময়ের স্রোতে হারিয়েও গেছেন। কিন্তু কেউই দিলদারের অভাব পূরণ করতে পারেননি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রোকেয়া বেগম এবং মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজ নামে দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।

বিজনেস আওয়ার/১৩ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দিলদার নেই ১৮ বছর

পোস্ট হয়েছে : ০৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

বিনোদন ডেস্ক : বাংলা ছবি দেখতে দেখতে কষ্ট-বেদনায় মন যখন আচ্ছন্ন হয়ে থাকতো তখনই তিনি হাজির হতেন হাসির সুবাতাস বইয়ে দিয়ে। তার নামে দর্শক হলে আসত। তিনি তাই ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার হয়ে উঠেছিলেন। বলছি নন্দিত কৌতুক অভিনেতা দিলদারের কথা।

আজ ১৩ জুলাই দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের এই দিনে তিনি জীবনের মায়া কাটিয়ে চিরদিনের মতো পৃথিবী ত্যাগ করেন। দেখতে দেখতে কেটে গেল ১৮টি বছর, দিলদার নেই। তবে তিনি থেকে গেছেন অসংখ্য চলচ্চিত্রে তার দুর্দান্ত অভিনয়ে; কৌতুক অভিনয়ের কিংবদন্তি হয়ে।

১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। তিনি এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনার ইতি টানেন। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামের চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন। আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি।

অভিনয় করেছেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘সুন্দর আলীর জীবন সংসার’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রে।

দিলদারের জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে, তাকে নায়ক করে নির্মাণ হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। নূতনের বিপরীতে এই ছবিতে বাজিমাত করেছিলেন তিনি। দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো ছবিতে ঠাঁই পাওয়া গানগুলো।

সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন। ভাগ্যের পরিহাস, সে বছরই মৃত্যু বরণ।করেন তিনি। বাংলা সিনেমার দর্শক বঞ্চিত হয়েছে তার প্রাণ জুড়ানো অভিনয় থেকে।

তার মৃত্যুর পর আরও অনেক কৌতুক অভিনেতাই এসেছেন, আবার সময়ের স্রোতে হারিয়েও গেছেন। কিন্তু কেউই দিলদারের অভাব পূরণ করতে পারেননি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রোকেয়া বেগম এবং মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজ নামে দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।

বিজনেস আওয়ার/১৩ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: